মানুষের কিছু অভ্যাসের বদল হলেও ঘুম থেকে উঠে বা অবসরে চা যাপনের অভ্যাসে বদল ঘটতেই পারে না। আর বলতে দ্বিধা নেই মূলত বাঙালীর এই চা কে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া ঠেক কিন্তু এনসাইক্লোপিডিয়ার নামান্তর বললেও অত্যুক্তি হয় না। ভাবা যায়! এমন এক পানীয় যা সেই কবে অতীশ দীপঙ্করের ক্লান্তি নিরসন করে পেয়েছিল খ্যাতি আর সেই ধারা আজও অক্ষত আছে।
কিন্তু রোজ এক চা ভালো লাগে? লাগে না তো! তা চায়ের রকমফের কিছু কম আছে! যেমন দুধ চা, এলাচ দেওয়া চা, আদা চা, লেবু – বিটনুন চা, গ্রীন টি, হানি -তুলসী, আর মালাই চা, চকলেট চা, তন্দুরি চা উফফফফফ কত বলব! কিন্তু তাও আজ সেই বিশাল চা পরিবারের এক নতুন সদস্যের সন্ধান দেব।
আর তা হল মাশরুম চা। হ্যাঁ, এক্কেবারে স্বাস্থ্যকর, মাত্র ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে এই ফ্লেভার্ড টি। চীন, জাপান তো চা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেই কিন্তু জাপানের অনুকরণে ভারতেও বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে এই চা। ভিটামিন বি এবং ডি২ সমৃদ্ধ এই মাশরুম টি অসুস্থ ও স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্যেও উপকারী। ১০০গ্রাম কাঁচা মাশরুম, ৯০% জল, ৭% কার্বোহাইড্রেট, ২% প্রোটিন এবং ১% ফ্যাটযুক্ত এই মাশরুম টি উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী আবার ক্লান্তি নাশক তো বটেই। মাশরুমে এলার্জি থাকলে অবশ্যই এর ধার মাড়াবেন না। তবে যাদের সে সমস্যা নেই তারা একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে একবার চেখে দেখতেই পারেন। খুব খারাপ লাগবে না, কারণ স্বাদে খুব একটা পরিবর্তন নেই উপরি পাওনা ভিটামিন।