আবহাওয়ার বিচিত্র রূপ যতই বিভ্রান্তিকর হোক, আসন্ন গ্রীষ্মের পারদ যে চড়তে শুরু করে দিয়েছে সেটা বসন্তের দুপুরে বেশ বুঝতে পারছে রাজ্যবাসী। এই সময়ে বাজারে যেমন লক্ষ্য করা যায় মরসুমি ফলের বাহার তেমনি গরমকে কাবু করতে এসব কাটা ফলের ছোট্ট ঝুপড়িগুলোতেও ভিড় লক্ষ্য করা যায়। গরমে তেষ্টা মেটাতে কখনো লেবুর শরবত, ছাতুর শরবত, বেলের শরবত ইত্যাদি ঠান্ডা পানীয় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শহরবাসীর কাছে। কিন্তু এমন খোলা থাকা পথের খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর তা খতিয়ে দেখতে এবার উদ্যোগী হল পুরসভা।
গরমের সময় পাল্লা দিয়ে যেমন বিভিন্ন ফল আর শরবতের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, এরই সাথে বৃদ্ধি পায় জল বাহিত রোগ। এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরির দায়িত্ব নিল পুরসভা। শহরবাসীকে খোলা বরফের শরবত, রঙিন শরবত, কাটা ফল, খোলা জল খাবার না খাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হল পুরসভার পক্ষ থেকে। পাশাপাশি খাবার বিক্রেতাদেরও খাবারে ভালো জল ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসচেতনেতার বিষয়গুলো মেনে চলার জন্যও বলা হল পুরসভার পক্ষ থেকে। প্রতিবার গরম পড়লেই চারপাশে ডায়রিয়া এবং এ জাতীয় রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছে কলকাতা খাদ্য বিভাগের আধিকারিকরা। এই কথা মাথায় রেখে এবার গরমের শুরুতে আগেভাগেই খাবার নিয়ে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। অন্যান্যবার গ্রামের সময় এ ধরনের অভিযান কেবল কি ধরনের খাদ্য বিক্রি করা হচ্ছে তা নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকত, তবে এ বছর তা শুরু হবে খাদ্য নিয়ে সচেতনতা তৈরি দিয়ে।
পুরসভার উদ্যোগ অনুযায়ী শহর জুড়ে নানা জনবহুল এলাকা, বাজার, বিদ্যালয়, এমন এলাকাগুলোয় ব্যানার টাঙিয়ে তাতে সতর্কীকরণ ছবি এবং নিয়ম জানানো হয়েছে। অনেক সময় কাটা ফলের ঝুপড়ি, খোলা বরফের ঠেলা এমন স্থানে স্বাস্থ্যসম্মতকিনা তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা খুব সহজ হয় না.তাই শুরুতে ব্যানারের মাধ্যমে আদেশ জারি করে পরে তা কতটা অনুসরণ করা হল তা খতিয়ে দেখবে কলকাতা খাদ্য পুরসভা বলে জানানো হয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রির পাশাপাশি খাবার দোকানের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়া কেউ খাবার বিক্রি করছে কিনা সে বিষয়েও অভিযান চালানো হবে বলে জানান আধিকারিকরা। সে ক্ষেত্রে দোকানদারদের অনুরোধ জানানো হয়েছে, দোকানেই যেন তারা খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের অনুমতি পত্রটি টাঙিয়ে রাখেন। খাদ্য সচেতনতা মূলক অভিযান চলবে শহরের ১৬ টি বরোর সবকটি ওয়ার্ডে এ বিষয়ে নিশ্চিত সেখানকার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ।