শিল্পীর অবাধ বিচরণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে

আজ নয়, বহু বছর ধরে বাংলা টেলিভিশন, থিয়েটার, বড় পর্দা এমনকী সঙ্গীত জগতেও একটি নাম আলোচনার শীর্ষে- মৃণাল মুখোপাধ্যায়। বাংলা সংস্কৃতির জগতে মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের নাম শীর্ষে থাকবে চিরকাল। গতকাল তাঁর মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে আর্টিস্ট ফোরামে। এমন কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রী নেই যার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেননি এই ব্যক্তিত্ব। ছোট পর্দা এবং বড় পর্দা দুই জায়গাতেই সমান তালে অভিনয় করে গিয়েছেন চুটিয়েনেগেটিভ, পজিটিভ এবং কমেডি তিন ঘরানাতেই তিনি ছিলেন দুরন্ত। তাঁর অভিনীত শেষ বাংলা ধারাবাহিক আমলকি’ অসুস্থ অবস্থাতেই এই ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন তিনি। সম্বল ছিল মনের অসীম জোর। ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন মৃণাল মুখোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন জন্ডিস-এ। অসুস্থতার মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে শেষ রক্ষা আর করা সম্ভব হয়নি। বর্ষীয়ান রোলে বছর কয়েক হল তাঁকেই ভাবত প্রোডাকশন হাউস এবং চ্যানেলগুলি। বলা বাহুল্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁকে দেখা গিয়েছে খল চরিত্রে। অভিনয়কে অভিনয়’ হিসেবেই ভাবতেন তিনি। তাই ছোটপর্দা কিংবা বড়পর্দা নিয়ে কোনও ছুতমার্গ ছিল না কখনও। দুটিকেই সমান গুরুত্ব দিতেন সবসময়। চুটিয়ে দুই জায়গাতেই সময় দিতেন। তাই দুই দিকেই সমান অবদান রয়েছে এই অভিনেতার। তাঁর খল চরিত্রের কারণে অনেকের কাছে ক্ষোভের মানুষও হয়ে উঠেছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিনোদনজগতে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। পাশাপাশি সত্তর-আশির দশক থেকে শিল্পীর গান মুগ্ধ করেছে মানুষকে। তাঁর সুযোগ্যা কন্যা জোজো মুখোপাধ্যায় গান এবং অভিনয় দুই দিকেই সমান স্বাক্ষর রাখছেন আজ। মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের আরও দুই সন্তান টিনা মুখোপাধ্যায় এবং দেবপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ও সংস্কৃতিজগতের সঙ্গে জড়িত।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...