'এমপিআই' হ্রাস পাচ্ছে ভারতে

 

ভারতে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট রয়েছে সে কথা আমরা জানি। যদিও স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকেই এই বিষয়টার ওপর খেয়াল রেখেছিল ভারত সরকার, তবে সাফল্য সেভাবে পায়নি তা বলাই বাহুল্য। সবুজ বিপ্লব প্রয়োগ করা হয়েছিল স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে। কিছুটা সুরাহা হলেও এই বিপুল জনসংখ্যাবহুল দেশে দারিদ্রতা তেমনভাবে বাগে আনা যাচ্ছিলনা কিছুতেই। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বলা যেতে পারে, কয়েক দশক ধরে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের রূপায়ন করে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে ভারত সরকার 'গরিবি হটাও' স্বপ্নের অনেকটাই কাছে এসে গেছে।

    রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দশটি দেশের মধ্যে ভারতই মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স অর্থাৎ এমপিআই বা দারিদ্র সূচক খুবই দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে আমাদের দেশে। তাছাড়াও ভারতের অন্যতম গরীব রাজ্য ঝাড়খন্ড খুব দ্রুত আর্থিক দিক দিয়ে নিজেদের উন্নত করছে। মোট ১০১ টি দেশের সার্ভে করা হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে। সেই সার্ভে বলছে, গোটা বিশ্বের প্রায় ১.৩ বিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন দিক দিয়ে গরিব। অর্থাৎ এখানে বলতে চাওয়া হয়েছে, গরীবী যে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দিক দিকেই হবে, তার কোনো কারণ নেই। এর সঙ্গে কাজ করে শারীরিক অসুস্থতা, পুষ্টি, স্যানিটেশন এইসব নানান বিষয়। উল্লিখত, ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে, কম্বোডিয়া, ভারত, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, হাইতি, ইথিওপিয়া, নাইজিরিয়া, পেরু এবং পাকিস্তান।

      রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, ২০০৫-২০০৬ এবং ২০১৫-২০১৬ বর্ষে ভারতবর্ষে প্রায় ২৭ কোটিরও বেশি মানুষকে দারিদ্রের হাত থেকে বাঁচানো গেছে। মোট দশটি জায়গায় এই সূচক হ্রাস পেয়েছে ভারতের। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি, রান্নার জ্বালানি, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা প্রভৃতি। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ১০টি দেশের মধ্যে প্রায় সব দেশেই এমপিআই হ্রাস পাচ্ছে, যা সারা বিশ্বের  কাছেই যথেষ্ট ভালো খবর।

  

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...