প্রাচীনকাল থেকেই একটা কথা খুব প্রচলিত তা হলো, আজ যে রাজা কাল সে ফকির| ভাগ্যের চাকা একবার ঘুরতে শুরু করলে তাকে আটকানো বেশ মুশকিল| ভাগ্য সহায় থাকলে একজন ফকিরের রাজা হওয়াও আটকানো যায় না| আর তার সাথে যদি থাকে বাবা মায়ের আশীর্বাদ তাহলে তো কোনো কথাই নেই| ভাগ্য ও আশীর্বাদ ছাড়াও সফল হওয়ার জন্য যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হল নিষ্ঠা| আর এই তিনটি জিনিসের সমাহার যখনই হয় তখন একজন ব্যক্তিকে আটকানো বেশ কঠিন| সম্প্রতি এই ঘটনার একটি নিদর্শন দেখা গেল কর্ণাটকে|
প্রতাপ এনএম, কর্ণাটকের মন্ড জেলার এক ২২ বছর বয়সী যুবক সম্প্রতি সোনা জিতে দেশকে গর্বিত করেছে| জাপানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রোবোটিক প্রদর্শনীতে ন্যুনতম মূল্যে ড্রোন তৈরি করে এই যুবক শোরগোল ফেলেছেন সারাবিশ্বে| বিপর্যস্ত এলাকায় নজরদারি এবং সেইসব এলাকায় ত্রানসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি তৈরি করেছেন এই ড্রোন|
আর সারাবিশ্বের পরিচিত একটি মুখ প্রতাপের যাত্রাপথ কিন্তু মোটেই মসৃন ছিলনা| শুরুতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত অর্থকষ্ট ও চোখে অফুরন্ত স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওঠা এক সাধারণ যুবক| তার বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে চাষের কাজেই মনোযোগ দেবে| চাষের কাজে নেমে প্রখর রোদ ও বৃষ্টির মধ্যে থেকে ছেলের মাথায় আসে ড্রোন তৈরির কথা| অর্থকষ্ট থাকার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা পান তিনি| এই সময় ত্রাতা হিসেবে পাশে পেয়েছিলেন তার মাকে| তিনি গয়না বিক্রি করে ছেলের স্বপ্নপূরণের পথ প্রসস্ত করেছিলেন তিনি| মায়ের এই বলিদান ব্যর্থ হতে দেননি তার ছেলে| নিজেকে ভারতের ড্রোন বিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিতি করে মায়ের সেই ঋণ শোধ করেছেন প্রতাপ|