গঙ্গা নদীর উৎসস্থলেই গড়ে উঠে গঙ্গোত্রী মন্দির

রাজা ভগীরথের কঠোর তপস্যায় গঙ্গা নদী রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিল। আর এই গঙ্গা  নদীর উৎসস্থলের কাছেই গড়ে উঠেছিল গঙ্গোত্রী মন্দির। হিন্দু পুরাণ অনুসারে যে চার ধাম যাত্রার কথা উল্লেখ করা হয়ে গঙ্গোত্রী মন্দির তার মধ্যে একটি‌। এই মন্দির কাছাকাছি রয়েছে একটি উষ্ণ প্রস্রবন। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলে স্নান করলে সব ব্যথা, বেদনা চলে যায়। এই জলের নীচে ডুবে রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ। তবে প্রাচীনকালে এখানে কোনও মন্দির ছিল না। ১৮০০ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই মন্দিরটির নির্মান করেছিলেন গোর্খা সেনাপতি অমর সিং থাপা। জয়পুরের মহারাজা এই মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন।

 

Ganga1

 

এই মন্দিরটির কাছাকাছি রয়েছে মহাদেব, গণেশ, হনুমান ও ভাগীরথির মন্দির। এই অঞ্চলেই অবস্থিত গোমুখ হিমবাহ। যেখান থেকে উৎপত্তি হয়েছিল গঙ্গা নদীর। এই মন্দিরের নিকটেই রয়েছে 'ভগিরথ শিলা'। হিন্দুদের ধারণা, এই স্থানেই বসে তপস্যা করেছিলেন রাজা ভগীরথ। তাই এই শিলা নির্মাণ করা হয়েছিল এখানে। 

প্রত্যেক বছর বহু মানুষ পূণ্য লাভের জন্য গঙ্গোত্রী মন্দিরে আসেন। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার এই মন্দিরটি হিমালয়ে পর্বতমালার তিন হাজার একশো মিটার উচ্চতায়  অবস্থিত। প্রত্যেক বছর শুধু মাত্র দীপাবলির দিন বন্ধ রাখা হয় এই মন্দিরটি। দেরাদুন থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। আর ঋষিকেশ থেকে গঙ্গোত্রী মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...