এক ছোবলেই ছবি

 

জীববৈচিত্র্যেপূর্ণ পৃথিবীর কোনায় কোনায় ছড়িয়ে রয়েছে নানা প্রাণী। কিছু প্রাণীর অস্তিত্বের প্রমান বিজ্ঞানীরা পেলেও কিছু প্রাণীর অস্তিত্বের প্রমান আজও পাওয়া যায়নি। ধীরে ধীরে এক একটি করে প্রাণী আসছে বিজ্ঞানীদের চোখের নাগালে।আবিষ্কৃত হচ্ছে নতুন কোনো প্রজাতি।সেরকমই দুটি নতুন প্রজাতির ইলের খোঁজ মিলেছে আমাজনের জঙ্গলে।জানা গেছে, এই দুই প্রজাতির ইলেরই বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই দুই প্রজাতির ইলের ছোবলে ৬৫০ থেকে ৮৬০ ভোল্ট বিদ্যুতের ঝটকা লাগতে পারে। হ্যাঁ, ইল দুটি ইলেকট্রিক ইল। এর আগেও পৃথিবীর বুকে খোঁজ মিলেছে ইলেকট্রিক ইলের কিন্তু তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা এতটা বেশি ছিল না।বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ইলের এক ছোবল খেলেই মৃত্যু অনিবার্য।জানা গেছে, এই প্রজাতির ইলের বিজ্ঞানসম্মত নাম লেক্ট্রোফোরাস ভোল্টাই

 

এই নতুন ইল সম্পর্কে প্রাণিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বিগত ৫০ বছর ধরে আমাজনে বসবাস করছে এই দুই প্রজাতির ইলেকট্রিক ইল। ইলগুলি লম্বায় ৬ থেকে ৭ ফুট হলেও এদের ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজির কাছাকাছি হয়ে থাকে।বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই দুই প্রজাতির ইলের মূল বৈশিষ্টই হলো অতিরিক্ত মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন।গত মঙ্গলবার পরিবেশ সম্পর্কিত পত্রিকা 'নেচার'-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, এই দুই প্রজাতির শরীরে বিদ্যুৎ প্রবাহের পরিমান হয় ১ অ্যাম্পিয়ার এবং এই প্রবাহ চলে প্রায় ১ থেকে ২ মিলিসেকেন্ড পর্যন্ত। অত্যন্ত কম সময় এই প্রবাহ চললেও বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন কোনো প্রাণীর মৃত্যুর জন্য এইটুকু সময়ই যথেষ্ট।গবেষকদের মতে, এই দুই প্রজাতির ইল নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই এই বিদ্যুতের ব্যবহার করে থাকে।এমনকি শিকার ধরার জন্যেও এই বিদ্যুতেরই ব্যবহার করে তারা।এই দুই নতুন প্রজাতির ইল ছাড়াও লেক্ট্রোফোরাস ভারি এবং ইলেক্ট্রোফোরাস ইলেকট্রিকাস নামক দুটি প্রজাতিও ধীরে ধীরে সংখ্যায় বেড়ে চলেছে আমাজনের জঙ্গলে। তাদের সকলের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের উৎপত্তির খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...