আসন্ন দীপাবলিতে এবারে অযোধ্যায় শোভাযাত্রা বেরোচ্ছে। সেই উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই শিল্পীরা অযোধ্যায় এসে গিয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ট্যাবলো নিয়ে শোভাযাত্রা বেরিয়েছে। রামকথা পার্কের কাছে সাকেত কলেজ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে শোভাযাত্রা পরিদর্শন করেছেন। নানান দেশের শিল্পীরা সেখানে অংশগ্ৰহণ করছেন। অযোধ্যায় পাঁচ দিনের উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে 'দীপোৎসব মেলা'। এই উপলক্ষে ৫.৫১ লক্ষ প্রদীপে সেজে উঠতে চলেছে তীর্থস্থান অযোধ্যা।
পুরাণে দীপাবলির দিনই ১৪ বছরের বনবাস শেষে রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরে আসেন। এদিকে অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোতে আর কয়েকদিন বাকি। রায় তাদের পক্ষেই যাবে বলে ভাবছেন হিন্দুত্ববাদীরা। সেখানে এই রকম উদ্যোগ যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে তা বলাই বাহুল্য। ২০১৭তে ক্ষমতায় এসে এই রাজ্যে 'দীপোৎসব' শুরু করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার ৫.৫১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলতে চলেছে অযোধ্যা। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার রাম পৈড়িতে চার লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হবে এবং বাকি প্রদীপ জ্বলবে শহরের অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে। এই উৎসব উপলক্ষে খরচ হচ্ছে ২২৬ কোটি টাকার বেশি। দীপোৎসব মেলাকে 'স্টেট ফেয়ার' এর মর্যাদা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই এখন পর্যটন দফতর এই মেলার আয়োজন করেনা। তার পরিবর্তে রাজ্যের জেলাশাসক মেলার পরিকল্পনা করেন। গত সপ্তাহেই রাজ্যের মুখ্যসচিব, প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি এবং পুলিশের ডিজি অযোধ্যা ঘুরে উৎসবের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষন করেন।
এই উৎসব উপলক্ষে বিশেষভাবে সাজানো হবে সরযূ ঘাটকে। রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণের ঘরে ফেরার প্রতীকী ছবি তুলে ধরার জন্য তাঁদের ছবি আনা হবে হেলিকপ্টারে। শনিবারের এই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন ফিজি-র ডেপুটি স্পিকার বীণা ভাটনাগর। থাইল্যান্ডের থাই ইন্ডিয়া কালচার লজের প্রেসিডেন্ট ও উপস্থিত থাকবেন উক্ত অনুষ্ঠানে।