প্রচারের চূড়ান্ত মুহূর্ত গুলোতে সামাজিক মাধ্যম একটি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট লক্ষ্য করা যায়, যা নিয়ে বেশ বিব্রত নির্বাচন কমিশনও। এবার তাই ভোটের মুখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজদারী করার জন্য নিযুক্ত করা হল নোডাল অফিসারদের। কমিশনের পক্ষ থেকে নোডাল অফিসারদের নিয়োগ দেওয়া হয়। দিল্লির কমিশন দপ্তরে ৩ জন এবং কলকাতা কমিশনে একজন নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম গুলোতে কি ধরণের পোস্ট আসছে তা বিচার করে বিব্রতকর পোস্ট গুলিকে মুছে দেবার জন্য অনুরোধ করার কাজে নিযুক্ত থাকবেন তারা। ডিলিট করে দেবার কাজেও নির্দিষ্ট সংস্থা গুলোতে উপস্থিত থাকবেন নোডাল অফিসার, যাদের সাথে কমিশনের নোডাল অফিসার সরাসরি যোগাযোগে থাকবেন।
সম্প্রতি দিল্লির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সামাজিক মাধ্যমগুলোর বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই নির্ধারিত হয় কমিশন এবং সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলোর দুই পক্ষেই নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হবে। সিদ্ধান্ত অনুসারে কলকাতায় এবং দিল্লিতে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়। সোশ্যাল সাইটে পোস্ট নিয়ে যে কোন অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন নোডাল অফিসাররা, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য পোস্টটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে দিল্লিতে। সি-ভিজিল অ্যাপে সম্প্রতি জমা পড়েছে ১৪৬৪টি অভিযোগ যার ভিতর অনেকটাই জুড়ে আছে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত নানা পোস্ট সংক্রান্ত। সম্প্রতি রাজ্যের দুই জন জনপ্রিয় প্রার্থীদের নিয়ে এমন অপ্রাসঙ্গিক সামাজিক পোস্টের জন্য, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ভোটের আগে নোডাল অফিসারদের নজরদারির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দলভেদে উপকারিত হবে সকলেই।