৮৯ বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনো রহস্য সমাধানে ব্যর্থ মেক্সিকান বিজ্ঞানীরা।আজও মেক্সিকোয় একটি পোশাকের দোকানের দরজার পাশে বিয়ের সাজে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি ম্যানিকুইন। সেই ম্যানিকুইনকে নিয়েই যত রহস্য শহরজুড়ে।৮৯ বছর ধরেই সেই ম্যানিকুইনটি রয়েছে সেই দোকানের ওই একটা জায়গাতেই। ব্রাইডাল পোশাকের দোকানটি এই ম্যানিকুইনটির কারণে পর্যটকদের কাছে বেশ ফেমাস হয়ে গেছে। কেন? চলুন সেটাই জেনে.নেওয়া যাক...............
পোশাকের দোকানে ম্যানিকুইন থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। দোকানের ষ্টকে থাকা জিনিসের কিছুর ডিসপ্লের করার জন্য ম্যানিকুইনের উপরেই বিশেষ ভরসা রাখতে দেখা যায় দোকানদারদের। কিন্তু এই ম্যানিকুইনটিতে এমন কি রয়েছে যে দেশ বিদেশ থেকে পর্যটকরাও আসছেন? পর্যটকদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মেক্সিকোর এই দোকানটি। এই দোকানে রাখা ম্যানিকুইনটির চুল থেকে শুরু করে নখ পর্যন্ত একদম মানুষের মতো। ম্যানিকুইনকে মানুষের আদলে তৈরী করা হলেও এই ম্যানিকুইনটির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই ম্যানিকুইনের সবটাই একজন জীবন্ত মানুষের মতো। ম্যানিকুইনটি দোকানে এনে রাখার পর থেকেই শুরু হয় এই নিয়ে নানা গবেষণা। লোককথা অনুযায়ী, ১৯৩০ সাল থেকেই মেক্সিকোর 'লা পাসকুয়ালিতা' নামক একটি পোশাকের দোকানে রয়েছে এই ম্যানিকুইনটি। জানা গেছে, ওই দোকানের তৎকালীন মালিক পাসকুয়ালা এক্সপারজা-র সাথে অস্বাভাবিক মিল রয়েছে এই ম্যানিকুইনটির। জানা গেছে, জীবন্ত মানুষের মতোই রয়েছে এই ম্যানিকুইনটির হাতের শিরা উপশিরাও। সেই থেকে শুরু। মানুষের কৌতূহলে আর ভাটা পড়তে দেখা যায়নি কখনো। যত দিন গেছে বরং মানুষের উৎসাহ আরও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, এটি মোটেও কোনো ম্যানিকুইন নয়। এটি আসলে ওই দোকানের ততকালীন মালিকের মেয়ের মমি যা ওই দোকানে ম্যানিকুইন করে রাখা আছে। জানা গেছে, দোকানের মধ্যে এই ম্যানিকুইনটি বসানোর কিছুদিন আগেই বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল পাসকুয়ালা এক্সপারজার কন্যার। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথানুযায়ী, সেই মৃত মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে রাখার জন্যই তার দেহকে মমি বানিয়ে রেখে দেওয়া হয় ওই দোকানের ভিতরে। তবে সাধারণ মানুষ যাই বলুক না কেন, কোনো মৃতদেহকেই এতদিন সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব নয়। এছাড়াও মেক্সিকোর যা আবহাওয়া তাতে কোনো কিছুই এতদিন সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব নয়। কিভাবে এতো নিখুঁতভাবে তৈরী করা হয়েছিল মেনিকুইনটি তা নিয়ে আজও ধন্ধে রয়েছেন মেক্সিকান বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, আজও মেক্সিকো-এ গেলে চিহুয়াহুয়ার এই পোশাকের দোকানটি যেতে ভোলেন না কোনো পর্যটকই। নিখুঁত এই ম্যানিকুইনটিকে একবার চোখের দেখা দেখতে চান সকলেই।