মরশুমের প্রথম ম্যাচেই উজ্জ্বল মোহনবাগান। শুক্রবার ডুরান্ড কাপ এর প্রথম ম্যাচে মহামেডানকে কার্যত পর্যদুস্ত করে মিনি ডার্বি নিজেদের দখলে করল সবুজ মেরুণ শিবির। নতুন কোচ কিবু ভিকুনার জমানায় স্প্যানিশ যুগের শুরুটা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন, কিন্তু সেই সব ভাবনাকে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দিলেন সবুজ মেরুণের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সালভা চামোরো। গোটা মোহনবাগান দলটিকেই যেন বেশ চাঙ্গা দেখালো ম্যাচে।
যুবভারতীতে বেশিরভাগ সমর্থন ছিল মোহনবাগান এর পক্ষে। আর এই সমর্থনে উজ্জীবিত হয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল তারা। ২ মিনিটেই প্রথম হানা দেয় মোহনবাগান। মিডফিল্ডার এদু বেইতিয়ার ফ্রিকিক থেকে গোল করে সবুজ মেরুণের হালখাতা খোলেন চামোরো। শুরুতেই গোল করে একেবারে বাঘের মত ঝাপিয়ে পড়েছিল সাদা কালো শিবিরের উপর। একের পর এক আক্রমণ সামাল দিতে পারছিল না সুব্রত ভট্টাচার্য্যের মহামেডান। আর ২৪ মিনিটে ফের গোল করে মোহনবাগান। নতুন সাইনিং উইঙ্গব্যাক আশুতোষ মেহতার ক্রসে, হেড করে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি সুনিশ্চিত করেন চামোরো। এরপর প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেলেও গোলমুখ খুলতে পারেননি বেইতিয়া ও চামোরো। ৪১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল মহামেডান, কিন্তু দুর্বল ক্রসে সেটি বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহুর্তে মহামেডানের মুসার ক্রসে কুয়াসি ঝাঁপিয়ে হেড মারলে মোহনবাগান এর শিল্টন পাল সেটিকে রুখে দেন। প্রথমার্ধ অবধি ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভালো খেলতে শুরু করে মহামেডান। দুই পক্ষোই একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোল আর হয়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নজর কাড়েন মহামেডান এর বাঙালি মিডফিল্ডার তীর্থঙ্কর সরকার। ডানদিক থেকে একাধিকবার তিনি মোহনবাগান এর ডিফেন্সকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন। এছাড়া দুই বিদেশী ফরোয়ার্ড মুসা ও কুয়াসিও বেশ চাপে রাখে মেরিনার্সদের ডিফেন্সকে। কিন্তু শেষ প্রহরী হিসেবে অভিজ্ঞ গোলকিপার শিল্টন পাল ছিলেন তৎপর। ৭৫ মিনিটে সত্যম শর্মার মাটি ঘেঁষা শট রুখে দেন শিল্টন। ম্যাচের শেষের দিকে অবশ্য রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলছিল মোহনবাগান, সময় ও ম্যাচ বাঁচানোর জন্য। আর এই স্কোরলাইনেই ম্যাচটি শেষ হয়। মোহনবাগানের পরবর্তী ম্যাচ ৮ই আগস্ট আইএসএল এর ফ্র্যাঞ্চাইজি দল এটিকে-এর বিরুদ্ধে।