মহামেডান স্পোর্টিং - ২ (করিম ওমেলজা, ভানলাল ছাংতে)
পিয়ারলেস - ০
কার্যত সেমিফাইনাল বলা যেতেই পারে এই ম্যাচটিকে। একদিকে টেবিলের শীর্ষে থাকা পিয়ারলেস, অন্যদিকে সদ্য মোহনবাগানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে ফেরা মহামেডান স্পোর্টিং। লড়াইটা যে তুল্যমূল্য হওয়ার ছিল তা বলাই বাহুল্য। তবে শেষ পর্যন্ত ২০ হাজার সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে কলকাতা ফুটবল লীগের টেবিলে শীর্ষস্থানে পৌঁছলো মহামেডান স্পোর্টিং।
এদিন কার্ড সমস্যায় খেলতে পারেননি পিয়ারলেস-এর দুর্ধর্ষ স্ট্রাইকার ক্রোমা। অন্যদিকে দীপেন্দু বিশ্বাস-এর কোচিংয়ে মহামেডান একেবারে দুরন্ত ফর্মে। তবে খেলার শুরুর দিকে দুই দলই সেরকম ভাল খেলতে পারছিলো না। একদিকে পিয়ারলেসের দিশাহীন ফুটবল, অন্যদিকে মহামেডানের মিসপাসিং। সবমিলিয়ে প্রথমার্ধে দুই দলই কোনো সুবিধা করতে পারেনি।
তবে আসল নাটক অপেক্ষা করছিলো দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৩ মিনিটে পিয়ারলেস পেনাল্টি পায়। কিন্তু সেই পেনাল্টির সুবিধা করতে পারেননি জিতেন মুর্মু। আর সেই ভুলের চুড়ান্ত খেসারত দিতে হল তাদের। ৬০ মিনিটে করিম ওমেলজার দূরপাল্লার শটে এগিয়ে যায় মহামেডান। এরপর ৬৯ মিনিটে তীর্থঙ্কর-এর লম্বা পাসে গোল করে ইনস্যুরেন্স গোলটি আদায় করে নিলেন ভানলাল ছাংতে। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে জয়লাভ করল মহামেডান।
আর এর ফলে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল বনাম মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ম্যাচটি হতে চলেছে কার্যত লীগ ডিসাইডার। যে হারবে, সে লীগ দৌড় থেকে ছিটকে যাবে।