মানুষ কে যদি মডিউল করে বেশ অনেক রকম অবতারে অবতীর্ণ করা যেতে পারত, তাহলে বেশ হত সেটা হলফ করে বলাই যায়। মডিউল-এর যুগে সব কিছুই মডিউল করে পছন্দমত করে নেওয়া যাচ্ছে। তাছাড়াও ছোট্ট পরিসরে নিজের শখ মেটানো যাচ্ছে এই মডিউল জিনিসপত্রের মাধ্যমে।
শুধুমাত্র যে কোনো ফার্নিচার তথা রুম, ড্রইং রুম, কিচেন-ই নয়, গোটা একটা বাড়ি মডিউল করে যে কোনও জায়গায় যে কোনও ভাবে ব্যবহার করা যাবে। এমনই মডিউলার হোম এসে গেছে ভারতে। বিদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি 'মডিউলার কটেজ' এখন ভারতেই তৈরী হচ্ছে। ফ্যাক্টরিতে তৈরী হবার পর সেগুলি গ্রাহকের জমিতে সরাসরি বসিয়ে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র ক্যাটালগ দেখে পছন্দ মতো কটেজ অর্ডার করে দিলেই হল। থাকতে হবে বা কিনতে হবে শুধু একফালি জমি। ছোট চাইলে ছোট জমি অথবা হাত-পা ছড়িয়ে থাকতে গেলে একটু বড় জমি নিজে খাটুনি করে কিনে নিলেই কেল্লা ফতে। আপনাকে আর কিচ্ছুটি করতে হবেনা।
আধুনিক আসবাবপত্র সহ শোওয়ার ঘর, বসার ঘর, আধুনিক ফিটিংস সমেত টয়লেট সব থাকছে এই মডিউলার কটেজ-এ। দু থেকে চারজন মানুষের বসবাসের উপযুক্ত একটি ইউনিটে দু'টি বেডরুম, একটি ড্রইং রুম, একটি টয়লেট এবং একটি কিচেন থাকছে। বাথরুমে গিজার, বেসিন, কমোড সব রয়েছে। রয়েছে শব্দহীন জেনারেটর, আধুনিক ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়্যারিং এবং অত্যাধুনিক নানান রকম আলো। জমিতে বসিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ব্যবহার করার উপযোগী হয়ে উঠবে এই কটেজগুলি।
হালকা অথচ টেকসই কটেজগুলি যে কোনও আবহাওয়া ও ভৌগলিক গঠনযুক্ত পরিবেশে বসানো যাবে। সে পাহাড় হোক বা সমুদ্র অথবা মরুভূমি। বিশেষ কোনও রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলাও নেই এই সব কটেজগুলির। এগুলিতে আছে সারা বছর ধরে ঘরের ভেতরকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাযুক্ত দেওয়াল ও ভেন্টিলেটর। প্রাকৃতিক দূষণ যাতে না হয়, সেই রকম উপাদান দিয়ে তৈরী এই কটেজগুলি। প্রয়োজনে যেখানে খুশি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। কটেজগুলির আয়ু সাধারনত ৫০ বছর। ডিজাইনে রয়েছে অভিনবত্ব। আয়ু শেষ হয়ে গেলে রিসাইকেল করা যাবে কটেজের উপাদানগুলি। তবে কিনবেন কিভাবে, দামই বা কত, তা জানতে চাইলে খুঁজে নিতে হবে সঠিক অনলাইন সাইটটি।