বিশ্ব এইডস দিবসে এইডস মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা এবং থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে পথে নেমেছিল শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এটা তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা নয়, কিন্তু যেটা উল্লেখনীয় তা হল, একদিকে সবুজায়নের বার্তা এবং অপরদিকে ভ্রাম্যমান অক্সিজেন পার্লার নিয়ে রাজপথ পরিভ্রমণ করল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাম্বুলেন্স।
বর্তমান সময়ে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে দূষণ নিয়ে জেরবার বিশেষজ্ঞমহল। লাগামছাড়া দূষণ মানুষকে কোন পথে ঠেলছে, তা অনুমান করাটাই কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের দেশের রাজধানীর দূষণ প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। কলকাতাও দূষণের খবরে জায়গা করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। মাঝে মাঝেই দিল্লিতেও দূষণে টেক্কা দিয়ে চলেছে কলকাতা। এই দিক দিয়ে বিচার করে এই দূষণের হাত থেকে শহরকে রক্ষা করার এক অভিনব প্রয়াস প্রশংসার দাবি রাখে বৈকি। দিল্লিতে দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিতে অক্সিজেন বার খোলা হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ অর্থের বিনিময়ে কিছুক্ষন পরিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারবেন। কলকাতায় গতকালের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আয়োজন করা ভ্রাম্যমান অক্সিজেন পার্লার তাই নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ের এক অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ তা বলাই যায়।
রবিবার শ্যামবাজার মোড় থেকে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তথা নাগরিকদের আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার বার্তা নিয়ে এগিয়ে চললো মিছিলের সঙ্গে সঙ্গে। স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে চিকিৎসক তথা নানান পেশার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকেরা এদিন সচেতনতামূলক পদযাত্রায় সামিল হলেন। ছিল বৃক্ষরোপণ নিয়ে সচেনতার প্রচারও। ওই অ্যাম্বুলেন্স-এর ভেতরে ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং মাস্ক। পথচলতি অনেক মানুষকেই দেখা গেল অক্সিজেন পার্লারের সামনে দাঁড়িয়ে প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে। এইভাবে অক্সিজেন পার্লারের মাধ্যমে প্রচার যে শহরের নাগরিকদের অনেকটাই সচেতন করবে, সেটা একবাক্যে স্বীকার করছেন পরিবেশবিদরা।