প্রতি বছর বাংলা তথা বিশ্বের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার দিকে। এবছর আগামী রবিবার তথা fes শুরু হচ্ছে পৌষ মেলা। তা নিয়ে মেলার কর্মকর্তাদের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা রয়েছে। এ বছরের পৌষ মেলা বেশ উল্লেখযোগ্য। কারন এ বছর-ই ১২৫ তম বর্ষে পড়ল পৌষমেলা। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৪ সালে পৌষমেলার সূচনা করেন। আবার বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের এ বছর শতবর্ষ, যা পূরণ হচ্ছে ওই দিন-ই অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর। তাই এ বছর মেলা সুষ্ঠূভাবে সম্পন্ন করতে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তা তথা বিশ্বভারতীর আধিকারিকরা।
নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য এবং কোনো সমস্যার চটজলদি সমাধানের জন্য এবারে একটি হোয়াটসআপ গ্রূপ গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া উল্লেযোগ্য বিষয় হল, এবারে অভিনব ভাবনা ভেবে বিশেষভাবে সাধারণ মানুষদের জন্য মোবাইল চার্জিং স্টেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যানজট এড়াতেও অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুন সংখ্যার ড্রপ গেট(৪০) করা হচ্ছে। সিসিটিভির(৪০) সংখ্যাও দ্বিগুন করা হচ্ছে। শান্তিনিকেতন সংলগ্ন জঙ্গলগুলিতেও অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি থাকছে এন্টি ইভটিজিং টিম। যথেষ্ট সংখ্যায় মহিলা পুলিশও মোতায়েন থাকছে। এভাবেই এবারের পৌষমেলায় নজরদারির বিষয়য়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বাইরে থেকে আগত মানুষরা অথবা স্থানীয় মানুষরা যাতে নিশ্চিন্তে মেলা উপভোগ করতে পারেন তার জন্য সব রকম ব্যবস্থাই নিচ্ছেন পুলিশ তথা প্রশাসন। তাই বলাই যায় এবারের পৌষমেলা নির্ভয়ে এবং নিশ্চিন্তে কাটাতে গন্তব্য হোক শান্তিনিকেতন।