প্রেম-বিয়ে যেমন আছে, তেমনই আছে বিচ্ছেদ। ডিভোর্স কোনও নতুন ঘটনা নয়। এবার বিয়ের বিচ্ছেদের প্রেক্ষাপটেই আসছে পথিকৃৎ বসুর ছবি ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’। পয়লা বৈশাখের মরসুমে মুক্তি পেতে চলেছে। প্রযোজনায় কাহাক স্টুডিয়োস। এই প্রথমবার একসঙ্গে দেখা যাবে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দুজন তাবড় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী ও অঞ্জন দত্তকে। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে এই ছবির পোস্টার। মুখ্য চরিত্রে দুই অভিনেতার নাম দেখে ইতিমধ্যেই আগ্রহের ঝড় বইতে শুরু করেছে দর্শক মহলে।
সিনেমা প্রেমী বাঙালি সবসময়েই অপেক্ষায় থাকে একটা ভালো ছবির জন্য। চিরাচরিত বাণিজ্যিক ছবি না। আবার গুরু গম্ভীর ছবিও নয়। এমন একটা পাঁচ মিশালী ছবি যেখানে থাকবে সুন্দর একটা চিত্রনাট্য। থাকবে আবেগ - অনুভূতি। একটা পারিবারিক সম্পর্কের ছোঁয়া। আর সব শেষে দর্শকদের মনের মনিকোঠায় একটা সুন্দর বার্তা পৌঁছে দেওয়া। আর এই চলচিত্রকে মাথায় রেখেই পরিচালক পথিকৃৎ বসু উপহার দিয়ে যান একটা সামাজিক বাস্তবমুখী ছবির। আসন্ন এই ছবিটিও যে তার ব্যতিক্রম হবে না তার একটা হালকা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে।
আসন্ন এই ছবিতে মূলত দেখা যাবে দুই প্রজন্মের গল্প। ২৭ বছর ধরে মামলা চলার পরেও ডিভোর্স পাচ্ছে না এক দম্পতি। সাময়িক নিয়মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা কিভাবে বাস্তব পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন। তাদের এই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম কী ভাবছে। সব মিলিয়েই তৈরী হতে চলেছে ছবিটি।
এই ছবিটি সম্পর্কে পরিচালক জানিয়েছেন, প্রথমত মিঠুন চক্রবর্তী ও অঞ্জন দত্ত প্রথমবারের জন্য এক ছবিতে কাজ করছেন। ফলে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য তিনি ভীষণ ভাবেই আগ্রহী। আগেও তিনি ‘কাছের মানুষ’ ছবির মাধ্যমে বিচ্ছেদ বিরোধী বার্তা দিতে চেয়েছিলেন দর্শককে। সম্প্রতি ‘শাস্ত্রী’ ছবিতেও তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। এবার তাঁর পরবর্তী নিশানায় রয়েছে "বিবাহ বিচ্ছেদ"। ফলে আশা করাই যাচ্ছে, এই ছবিতেও সামাজিক প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে বাস্তবমুখী একটি বার্তা প্রচার করতে চলেছেন পরিচালক।
এই ছবির অন্যান্য কলাকুশলীদের তালিকায় রয়েছে, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জনা বসু, মধুমিতা সরকার, সত্যম ভট্টাচার্য, রোশনী ভট্টাচার্য ও বিশ্বনাথ বসু। ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন অরিত্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংলাপ লিখেছেন অর্পণ গুপ্ত ।