ছেড়েছিলেন মোটা বেতনের চাকরি। দেশের মাটিতে কাজ করতে শুরু করেছিলেন। ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মত মারণ রোগের সমাধান তাঁর কাছে আছে। মাইসুরুর ‘মিলেট ডাক্তার’। সারা দেশ তাঁকে চেনে ‘মিলেট ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ নামে।
প্রত্যেক দিন সকালে তার বাড়ি ভর্তি হয়ে যায় অসুস্থ মানুষের ভিড়ে। ক্যান্সার, ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে এইডস পর্যন্ত। সব অসুখের সব ধরণের রুগী আসে তাঁর কাছে। মির্যাকলের আশায়। কিন্তু তিনি বলেন তিনি মির্যাকল জানেন না। মির্যাকল জানে প্রকৃতি। সেই রহস্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন তিনি।
কেন বলা হয় তাঁকে মিলেট ম্যান?
মিলেট। ভারতীয় দানা শস্য। উত্তর- পশ্চিম ভারতের মাঠগুলোতে এক সময় প্রচুর ফলত। কিন্তু ১৯৬০ সালের সবুজ বিপ্লবের পর এক রকম থমকে যায় মিলেটের ফলন।
কিন্তু ডাক্তার খাদার ভাল্লি অবস্থাটা বদলে দিলেন। অত্যন্ত প্রাচীন এই দানা শস্য পুষ্টিগুণে বেশ উচ্চ। ‘গোল্ডেন গ্রেইন’ বলা হত। ক্যান্সার, অ্যানিমিয়া, ডায়াবেটিস, ওবিসিটি’র মত অসুখে মিলেট মির্যাকলের মত কাজ করে। কিন্তু অন্য ফসলে বেশি মুনাফার কারনে মিলেট চাষে কৃষকরা আর রাজি নয়।
বিদেশে গবেষণার সময়ে তিনি এমন বেশ কয়েকটি কেসে দেখেন ইনডাস্ট্রিয়াল ফুডের কারণে মানুষ অনেক বেশি শারীরিক সমস্যার শিকার হচ্ছে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফুডের সমাধান কী হতে পারে তার সন্ধান করতে গিয়েই মিলেটের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন ডঃ ভাল্লি। মিলেট নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। মিলেট কে তিনি বলেন ‘পজেটিভ গ্রেইন’। তাঁর মতে মিলেট শুধুমাত্র অসুখ সারায় না। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও এগিয়ে।
ডাক্তার খাদর ভাল্লির কাছে যে সমস্ত রোগী আসে তাদের লাইফস্টাইল বদলের পরামর্শ দেন তিনি। সঙ্গে নামমাত্র মূল্যের সামান্য কিছু ওষুধ। আর মিলেট।
তাঁর রোগীদের ৫ ধরনের ‘পজেটিভ গ্রেইন’ খেতে বলেন তিনি। গত ৬০ বছর ধরে যা নিয়ে গবেষণা করে আসছেন তিনি।
মিলেটের ওপর তাঁর গবেষণা বই হিসেবেও বেরিয়েছে।