Microbial Similarities: অণুজীব স্তরে মিল রয়েছে ভিন্ন মানুষের মধ্যে, জানাল ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা

অণুজীব স্তরে মিল রয়েছে ভিন্ন মানুষের মধ্যে। এমন অদ্ভুত তথ্যই সামনে আনলেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাদের মতে, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের শরীরের মধ্যে থাকা অনুজীবগুলির মধ্যে সাদৃশ্য

 

হাইলাইটসঃ
১। অণুজীব স্তরে মিল রয়েছে ভিন্ন মানুষের মধ্যে
২। এমন তথ্য জানালেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা
৩। মানুষদের পেটে উপস্থিত জীবাণুর প্রকৃতির মধ্যে সাদৃশ্য বর্তমান

 

এ যেন ঠিক মনের হাত ধরে পেটের রাস্তায় চলে আসা। আমরা সাধারণভাবেই বলে থাকি, কাছের বন্ধুদের মধ্যে মনের মিল থাকা খুব জরুরী। কিন্তু মনের সাথে যে পেটের মিলও মিলে যাবে , একথা ভাবাই যায়না। কিন্তু এমনটাই বলছে গবেষণাপত্র।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি যোগাযোগ নিয়ে এক গবেষণা চালিয়েছিল। যেখানে গবেষকেরা হন্ডুরাসের ১৮টি প্রত্যন্ত গ্রামের ১৭৮৭ জন প্রাপ্তবয়স্কের সামাজিক যোগযোগ ও তাঁদের প্রত্যেকের মাইক্রোবায়োম পরীক্ষা করেন। সেই পরীক্ষায় ২৫৪৩ মাইক্রোবিয়াল স্পিসিসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিটি অণুজীব প্রজাতির আবার ৩,৩৯,১৩৭ ভেরিয়েন্ট ধরা পড়ে। এরপর সেই অনুজীবগুলিকে পরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত মানুষদের মাইক্রোবায়োম বা পেটে উপস্থিত জীবাণুর প্রকৃতির মধ্যে সাদৃশ্য বর্তমান। তাঁরা একই পরিবারের সসদ্য বা খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

এই সাদৃশ্যের কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠ সামাজিক সম্পর্কের ফলে এক জনের থেকে অন্য জনের দেহে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই সম্পূর্ণ বিষয়টিই নির্ভর করে দুজন মানুষ কতটা সময় একসঙ্গে কাটাচ্ছেন। দু’টো মানুষ এক জায়গায় এক সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, একই জায়গায় হাত রাখছেন, হাত মেলানো বা জড়িয়ে ধরার মতো শারীরিক স্পর্শ হচ্ছে তাঁদের মধ্যে, তাতেই জীবাণু দু’টো মানুষের মধ্যে আদানপ্রদান হয়ে যাচ্ছে।

গবেষণাটির সহ-প্রধান লেখক তথা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান নেচার ল্যাব-এর গবেষক ফ্র্যাঞ্চেসকো বেগিনি বলেন, ‘‘একই পরিবারের নয়, এক বাড়িতে থাকেনও না, কিন্তু ভাল বন্ধু— এমন মানুষদের মাইক্রোবায়োমে ব্যাপক মিল দেখতে পাওয়া গিয়েছে।’’

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...