স্নায়ুঘটিত রোগের কারণে পক্ষাঘাত হয়ে গেছিল বারাসতের দত্তপুকুরের বাসিন্দা রেহানা বিবির পায়ে| ফলে হাঁটাচলা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় তার| এরপরে নানা স্নায়ু চিকিৎসকেরা বহুবার চেষ্টা করেছিলেন তার রোগ সারিয়ে তার হাঁটাচলার ক্ষমতা আবার ফিরিয়ে দেওয়ার| প্রতিক্ষেত্রে সব চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় শেষে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি| অবশেষে এসএসকেএম-এর ‘ইনস্টিটিউট অফ সাইকায়াট্রি’-র চিকিৎসায় আবারও আগের অবস্থায় ফিরে গেছেন সেই মহিলা|
ইনস্টিটিউট অব সাইকায়াট্রির অধিকর্তা প্রদীপ সাহার কথায়, রেহানা ‘প্যারাপ্লেজিয়া সাইকোজেনিক ইন অরিজিন’ নামক একধরনের অসুখে আক্রান্ত| গত দেড়বছর ধরে হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়েছিলেন তিনি| তরুনীর পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে| সেখানকার স্নায়ুরোগ বিভাগে থেকেও সুস্থ না হওয়ার পর তাকে ‘ইনস্টিটিউট অফ সাইকায়াট্রি’-তে রেফার করা হয়| সেখানে নানা ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা করার পরেও কোনো রোগ ধরা না পড়ায় অবশেষে একে মানসিক রোগ বলেই সনাক্ত করেন চিকিৎসকেরা|কিন্তু মনোরোগের কাছে যেতে অস্বীকার করেন রেহানা| এই সময়ে ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা নিজে রেহানার কাউন্সেলিং করান|
জানা গেছে, তারসুখ নিয়ে একটি ভ্রান্ত ধারণা তৈরী করেছিলেন রেহানা|তার উপর স্বামী ছেড়ে চলে যাবে এমন একটি ধারণাও তৈরী হয়েছিল তার মন জুড়ে|দুই সন্তানের দেখাশোনা করতেও সমস্যা হচ্ছিল তার| এরপর মাত্র ২২ দিনের চিকিৎসায় তাকে সুস্থ হয়ে তোলা হয়েছে| সুস্থ হয়ে ওঠার পর রেহানা জানা, নিজের উপর থেকে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি| তিনি জানান, নিজের পায়ে হাঁটতে পারবেন তা কখনো ভাবেননি তিনি তবে একবার যখন হাঁটতে শুরু করেছেন তখন আর পিছনে ফিরে তাকাবেন না|