১৭ টি লোকসভা নির্বাচন। ১৪ টি বিধানসভা নির্বাচন। একবারের জন্যও ভোটদান বাদ পড়েনি তাঁর। এবারেও ভোটের দিন সকাল সকাল গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটের লাইনে।
শ্যাম শরণ নেগি। বয়স ১০২ বছর। এখনও পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৩১ বার। ভারতের প্রথম ভোটার।
রবিবার হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলার কল্পা বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন তিনি। শ্যাম শরণ নেগি মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার। এদিন বুথে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভোটকর্মীরা। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক গোপাল চাঁদ জানিয়েছেন, ‘রাজ্য নির্বাচন বিভাগের কাছে উনি একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।’
শ্যাম শরণ নেগি’র জন্ম ১৯১৭ সালে। এখনও মনে করতে পারেন, তাঁর প্রথম ভোটের দিনটা কেমন ছিল।ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫১ সালে। কিন্তু দেশের বাকি রাজ্যগুলির থেকে হিমাচল প্রদেশের ভোট হয়েছিল ৫ মাস আগেই। আদিবাসী অধ্যুষিত প্রান্তিক রাজ্য হওয়ার কারনেই এই রাজ্যে ভোট আগে করে নেওয়া হয়।
শ্যাম শরণ নেগি তখন স্কুল শিক্ষক। ভোটকর্মীর দায়িত্ব নিতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৫১ সালের ২৩ অক্টোবর শীতকালে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই হয়েছিল ভোটগ্রহণ।’ সেই কারণে ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে সকাল সাতটায় কিন্নরের কল্পা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেই কেন্দ্রে তিনিই ছিলেন প্রথম ভোটার। সবার আগে ভোট দিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার নির্বাচনের প্রাক্কালে সৎ এবং সক্রিয় প্রার্থীদের জয়ী করার বার্তাও দিয়েছিলেন ভারতের প্রথম ভোটার।
২০০৭ সালে হিমাচলপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় এক নির্বাচন আধিকারিক কার্যত আবিষ্কার করেন তাঁকে। শ্যাম শরণ নেগির কথা জানতে পারে দেশ।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁকে দেশের সচেতন ভোটারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের মর্যাদা দেয়।
২০১৪ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট মতে, ভারতে ৮১৪ মিলিয়ন নাগরিকের মধ্যে ২৩৩ মিলিয়ন নাগরিক বিরত থাকেন ভোট দিতে।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৬.৩৮ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।