আলো-আঁধারির প্রেক্ষাপটে একটা পাহাড়ি গাছ। গাছের শরীর থেকে সবুজ ছিটকে আসছে সবুজ আলো। প্রথম দেখায় মনে হবে উড়ন্ত সবুজ পাতায় আশ্চর্য আলো এসে পড়েছে অদেখা উৎস থেকে। একটু সময় নিয়ে দেখলে বোঝা যাবে আসলে নিয়ন আলোর জোনাকি। কিন্তু মনের মধ্যে পাতা না জোনাকি ধন্দটা থেকেই যাবে। তাই বারবার ফিরতে হবে ছবির কাছে।
এই ছবি দিয়েই বিশ্বসেরা ভারত। নেপথ্যে ঐশ্বর্য শ্রীধর। মুম্বই নিবাসী তেইশের এই তরুণী জিতে নিয়েছে বিশ্বসেরা ‘ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারে’র শিরোপা। এই জোনাকি আলোর ছবি দিয়েই। ঐশ্বর্য শ্রীধর দেশের প্রথম মহিলা এবং কনিষ্ঠতম ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার।
A big moment for India and for me as a young wildlife photographer. Being the first and youngest girl to win this award from India in the Adult category, its a huge honour for me to receive this award !!
— Aishwarya Sridhar (@Aishwaryasridh9) October 14, 2020
Thank you to the entire Jury and WPY team. https://t.co/i6mU8VKW4j
লন্ডন ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে গত ১৩ অক্টোবর ‘ ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার’ সম্মান ঘোষণা করা হয়।
৮০ টি দশের ৫০ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে থেকে ১০০ টি ছবি নির্বাচিত হয়। তার মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয় ‘সেরা’। ঐশ্বর্য শ্রীধরের ‘লাইটস অফ প্যাশন’। ‘বিহেভিয়র ইনভার্টিব্রেটস’ বিভাগে।
ঐশ্বর্য নিজেই টুইট করে সুখবর জানিয়েছেন দেশবাসীকে। নেশায় তিনি ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার আর পেশায় ফিল্মমেকার। স্নগে চলে লেখালেখি। ২০১৯ সালে প্রিন্সেস ডায়ানা ফাউন্ডেশন থেকে পেয়েছিলেন ‘ ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। জলভাগ সংরক্ষণে তাঁর কাজের জন্য। বোম্বাই হাই কোর্ট ‘ওয়েটল্যান্ড আইডেনটিফিকেশন কমিটি’র গুরুত্বপূর্মণ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেছে তাঁকে।