কথায় আছে, বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আর এই পার্বণগুলির মধ্যে অন্যতম হলো দুর্গাপূজা। সেই দুর্গাপূজা আসতে আর মাত্র কয়েকটি দিনের অপেক্ষা। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সঞ্চালক দীপালির সাথে জিয়ো বাংলা স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন মেছুয়াবাজার সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির দুই সদস্য। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের আহবায়ক (কনভেনর) শ্রী শংকর শ্রীবাস্তব এবং এই বছরের থিম শিল্পী শ্রী অরিন্দম সেনগুপ্ত।
তারা জানালেন, এই বছর তাদের পুজো পা দিলো ৬৬ তম বছরে। সাবেকিয়ানার হাত ধরে দীর্ঘদিনের পথচলা হলেও ২০০৫ সালের পর থেকে থিম পুজো শুরু করে এই ক্লাব। ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ক্লাবের মোট ২০০ জন সদস্য সকলেই খুব সক্রিয়ভাবে যুক্ত এই পুজোর সাথে। সমস্ত পুজো ক্লাব থিম হিসেবে খুব গম্ভীর জিনিস বেছে নিলেও এই ক্লাবটি কিন্তু ভেবেছে শিশুদের জন্য। এই ক্লাবের এই বছরের থিম 'টেডিবিয়ার আইল্যান্ড'। শিল্পী জানালেন, এর আগেও শিশুদের জন্যই কাজ করেছেন তিনি। শিল্পী ২০০৬ সাল থেকেই যুক্ত এই ক্লাবটির সাথে। প্রতিবছরই শিশুদের জন্য কিছু না কিছু করেন তিনি।
আগের বছরগুলিতে তিনি যেসব থিম উপহার দিয়েছিলেন তা হলো ছোটা ভীম,ক্যান্ডিল্যান্ড, চিড়িয়াখানা, অবতার প্রভৃতি। শিল্পী জানালেন, এই বছর মণ্ডপসজ্জায় থাকছে বিশেষ কিছু জোন। টেডিবিয়ারের সাথে সাথে মণ্ডপে আমরা দেখতে পাবো ডাইনোসর জোন, জলের নিচের একটি জোন, আফ্রিকার একটি জোন এবং থাকছে ইজিপ্ট জোন ও একটি জীবাশ্ম জোন। জীবাশ্ম জোনটিতেই দুগ্গাঠাকুরকে অধিষ্ঠান করতে দেখা যাবে। শিল্পী কৃশানু পালের হাত ধরে ‘সাউথ ইন্ডিয়ান স্টাইলে’ দেবীমূর্তি তৈরী হলেও দেবীমূর্তিতে থাকছে কিছুটা সাবেকিয়ানা। ভোগের প্রসঙ্গে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হলো, মহানবমীর দিন মায়ের জন্য ভোগের আয়োজন করা হয়।
শিশুদের জন্য তৈরী হওয়া এই মণ্ডপের দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে দ্বিতীয়া কিংবা তৃতীয়ার দিন। নিরাপত্তার দিক থেকেও কোনোরকম ত্রুটি রাখছেন না তারা। তারা জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সাহায্য পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্লাবের নিজস্ব সদস্যরাই ভিড় সামলানোর কাজ করে থাকে। এছাড়াও মণ্ডপে সিসিটিভির পাশাপাশি থাকছে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাও।এই ক্লাবটিতে যেতে গেলে আপনাকে নোয়াপাড়া কিংবা কবিসুভাষগামী মেট্রো করে এসে নামতে হবে গিরীশ পার্ক মেট্রো, সেখান থেকে জোড়াসাঁকোর নিকটে এই পূজা মন্ডপ।