মাস্টারদা স্মৃতি সংঘ | জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯

সমাজে দুই শ্রেণীর মানুষের বসবাস, এক যাদের বিভিন্ন দ্রব্যের  প্রয়োজন আর দুই যাদের বিভিন্ন চাহিদা। প্রয়োজন ইতিবাচক হলেও, চাহিদা অত্যন্তই নেতিবাচক। অপ্রয়োজনীয় চাহিদা মানুষকে সঙ্কটের মুখে ঠেলে দেয়। তাই অত্যাধিক চাহিদার কালো ছায়ায় বিরুদ্ধে মানুষকে অবগত করতে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুজো পর্যায়ের চারটি লাইন কে কেন্দ্র করেই সেজে উঠছে মাস্টারদা স্মৃতি সংঘের এবারের থিম। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে, জিয়ো বাংলার স্টুডিও-তে উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির সহ-সম্পাদক মৈনাক সাহা, থিম শিল্পী মানস রায় ও মহিলা সদস্য মধুমিতা বসু। সঞ্চালক রীয়া-র সাথে জেনে নিলাম তাদের পুজোর ব্যাপারে। এই বছরটা বাদ দিলে, মাস্টারদা স্মৃতি সংঘের ৬৬ বছরের পুজোয় মাত্র ২ বছর হল তারা থিমের পুজোয় প্রবেশ করেছেন, কিন্তু দুই বছরেই উত্তর কলকাতার কেষ্টপুর এলাকায় বিখ্যত পুজো হয়ে উঠেছেন তারা।

এইবছর ৬৭তম বর্ষে প্রতিমার রূপায়নে আছেন শিল্পী সনাতন পাল, আর থিম মিউজিকের দায়িত্বে আছেন সঙ্গীত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। প্রয়োজনের ইতিবাচক দিক কে আরও ফুটিয়ে তুলতে সাদা রঙ ও চাহিদার নেতিবাচক দিককে স্পষ্ট করতে সাদা ও কালো এই দুই রঙ চোখে পড়বে দর্শনার্থীদের। প্রশাসনের নিয়ম মেনে  প্যান্ডেলের উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট আর প্রতিমার উচ্চতা আনুমানিক ১৩ ফুট রাখা হয়েছে। উদ্বোধনের দিন ক্ষন নির্ধারন না করা হলেও পূজা কমিটির মতে মহালয়ার পরেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে তাদের পুজো। অষ্টমীর দিন সকল দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে ভোগের আয়োজন, যার দায়িত্বে থাকবেন পূজা কমিটির মহিলা ব্রিগেড।  দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রোতে উঠে নামতে হবে বেলগাছিয়া, সেখান থেকে বাস বা অটো করে কেষ্টপুর বাস স্টোপের নিকট অবস্থিত মাস্টারদা স্মৃতি সংঘের পূজা মন্ডপ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...