বিয়ের মণ্ডপে সেজেগুজে বিয়ে করতে এলেন জামাই বাবা জীবন! নিয়ম রীতি মেনে সকল কাজও সম্পন্ন হল। এরপর কনের বান্ধবিদের সাথে খোশ গল্পে মেতে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল পড়াশোনার দৌড়। পাত্রের সাথে কথা হওয়ার সময়ই সন্দেহ হয় কনে পক্ষের। বিয়ের আসরেই দিতে হল পরীক্ষা। ১০০ টাকার ১০ টি নোট হাতে ধরিয়ে গুনতে বলা হল জামাই কে। বিয়ের আসরে একাধিক বার চেষ্টা করেও কিছুতেই গুনে উঠতে পারলেননা ১০০০ টাকা। অবশেষে বিদ্যের বোঝা বেশ ভালোভাবে বুঝে নিয়েই বিয়ে ভেঙে দিলেন পাত্রী নিজেই।
বিয়ের দিনই নিরক্ষর পাত্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার এমন স্পষ্টবাদী সিদ্ধান্ত নেবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মধুবনী জেলার পন্ডোল গ্রামে। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় হিন্দি দৈনিকের প্রতিবেদন হিসেবে ঘটনাটি প্রকাশিত হয়। পাত্র ছিলেন পন্ডোল ব্লকের ব্রহ্মতোড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল মোমিনপুর গ্রামের এক যুবতীর। পাত্রের নিরক্ষরতার কথা একদম আড়াল করেই বিয়ের পিঁড়ি অব্দি পৌঁছে গেছিলেন পাত্র পক্ষের আত্মীয় স্বজন এবং পাত্র স্বয়ং। টাকা-পয়সা গুনে নেওয়া তো দূরে থাকে নিজ গ্রামের ঠিকানাও ঠিকভাবে বলতে পারেননি পাত্রটি। বিয়ের দিন সবরকম রীতি পালনের পর পরিচয় পর্বে কনের বান্ধবীদের সন্দেহে পড়ে সে। বান্ধবীদের একের পর এক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনি অক্ষরজ্ঞানহীন পাত্র। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অবশেষে পাত্রীই নিলেন মোক্ষম সিদ্বান্তটি।
বিবাহ বন্ধন যখন বিশেষ রূপে দায়িত্ব বহন করে, তখন সেই দায়িত্ব পালনের জন্য নির্ভরশীল সঙ্গীটির সাথে গাঁটছাড়া বাধাই কাম্য। নিরক্ষর পাত্রকে বিয়ের আসরে ফিরিয়ে দিয়ে এমন দৃষ্টান্তই স্থাপন করল বিয়ের পাত্রীটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন তার শিক্ষিত ছেলের সাথে বিয়ের প্রস্তাব রাখেন সেই আসরেই। পাত্রীও রাজি হয়ে যান এই প্রস্তাবে। চিত্রায়ন হলে ছবিটির নাম দেওয়া যেত 'সব ভালো যার, শেষ ভালো'।