পুজোর বয়স ১১৫ বছর। উত্তর কলকাতার প্রাচীতম বারোয়ারি পুজার মধ্যে একটি হল মানিকতলা টিকিয়াপাড়া সার্বজনীন। এতবছরের পথচলায় বিন্দুমাত্র বাধা হয়ে দাড়ায় নি থিম। প্রথম থেকেই সাবাকি রুপেই মায়ের আরাধনা করে আসছেন তারা। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ উপলক্ষে, আমাদের স্টুডিও-এ উপস্থিত ছিলেন পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রাজেশ কুমার জয়সওয়াল ও অভিজিৎ ঘোষ, উপস্থিত ছিলেন সহ-সম্পাদক অরিজিত ঘোষ।
সঞ্চালক মনীষা-র সাথে তাদের পুজোর ব্যাপারে জানলাম আমরাও। উত্তর কলকাতার পুরোণো পুজো হওয়ার ফলে, এমন অনেক রিতি নিতী চোখে পড়বে মানিকতলার এই পুদজোয়, যা হয়ত সাধারণত আর পাঁচটি পুজোয় চোখে পড়বে না। তারই মধ্যে একটি হল নবমীর দিন কুমারী পূজার রিতি। যা কোনও পুরোহিত পুজো করে না, পুজো করে পাড়াল একজন সধবা মহিলা।
পাড়ার-ই একটি ৬ থেকে ৭ বছরের কণ্যাকে, দেবী রুপে পূজা করা হয়। সপ্তমি থেকে দশমী মায়ের জন্য আলাদা ভোগ রান্না করা হয়। নবমীর দিন যে ভোগ রান্না করা হয় তা পল্লিবাসি সহ দর্শনার্থী সকলেই সেই ভোগের স্বাদ উপভোগ করতে পারে। চতূর্থীর দিন উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে তাদের ২০১৯ দুগোৎসবের পথচলা। তার সাথে থাকবে সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। দমদম বা কবি সুভাষ গামী যে কোনও মেট্রোয় উঠে নামতে হবে গিরিশ পার্ক মেট্রো। সেখান থেক অটো ধরে মানিকতলা মোড় সংলগ্ন ছায়া সিনেমার হলের নিকটে অবস্থিত মানিকতলা টিকিয়াপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসবের পূজা মন্ডপ।