টিভিতে কিংবা গল্পের বইয়ে আমাজন জঙ্গলের কথা তো শুনেইছি। পাঠ্যপুস্তকের বই থেকে যেমন জেনেছি এর গুরুত্ব, টিভি ও গল্পের বই থেকে জেনেছি এর রোমাঞ্চ। সবমিলিয়ে আমাদের ধরিত্রীমাতার ফুসফুস নিঃসন্দেহে বলা যেতেই পারে এই আমাজন জঙ্গলকে। কিন্তু সদ্যই যেভাবে আমাজন জঙ্গল আগুনের লেলিহান শিখায় ধ্বংস হয়ে গেল তা নজর কেড়েছে আমাদের সকলকে, ব্যথিত করেছে প্রকৃতির ভারসাম্যকে। আর এই ঘটনাকেই নিজেদের থিমের মাধ্যমের তুলে ধরতে চলেছে মানিকতলা ১৪-এর পল্লী সাধারণ দূর্গোৎসব।
‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’-এর পুজোর আড্ডা আবারও জমজমাটি। কারণ জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত হয়েছিল মানিকতলা ১৪-এর পল্লী সাধারণ দূর্গোৎসব। সঞ্চালক ইপ্সীতার সাথে নিজেদের পুজো নিয়ে কথা বললেন ক্লাবের সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ ও ক্লাবের মহিলা সদস্যা সোমা ঘোষ। এছাড়া একেবারে নবীন প্রজন্মের দূত হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করল খুদে সদস্য অরিত্রিকা ঘোষ। মানিকতলা ১৪-এর পল্লী সাধারণ দূর্গোৎসব এবারে থিমের আয়োজন করলেও শুরু থেকে তারা এই থিম পুজো দিয়ে শুরু করেনি। দীর্ঘ ৭৫ বছরের ইতিহাসে তারা নাম করেছিল সাবেকি পুজোর মাধ্যমে। কিন্তু গত কয়েক বছর প্রতিযোগীতার খাতিরে থিমে প্রবেশ করে এই পুজো কমিটি। আর এবার ৭৬তম বর্ষে আমাজন জঙ্গলকে দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরতে মরিয়া তারা।
এই বছর চতুর্থীতে উদ্বোধন করতে চলেছে তারা। আর উদ্বোধনের পর পুজোর কয়েকদিন মানুষের ঢল যে ভালোই থাকবে সে নিয়ে নিশ্চিত ক্লাবের সদস্যরা। আর তাই কলকাতার বুকে আমাজনের ছোঁয়া পেতে আসতেই হবে মানিকতলা ১৪-এর পল্লী সাধারণ দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয়। দমদম বা কবি সুভাষগামী মেট্রোয় উঠে নামতে হবে মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে বাগমারী যাওয়ার বাস ধরে নামতে হবে বাগমারী বাজার স্টপেজে। সেখান থেকে কিছুটা হাটলেই পেয়ে যাবেন এই পুজোমন্ডপ।