কলকাতার শেরিফ পদটি যথেষ্ট আভিজাত্যপূর্ণ একটি পদ। সেই পদে একজন করে কলকাতার বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে কেউ মনোনীত হন। ভারতে একমাত্র মুম্বই এবং কলকাতায় এই পদটি বিদ্যমান। কলকাতা হাইকোর্টের মনোনয়ন অনুযায়ী আগামী সোমবার ৮জুলাই শহরের নতুন শেরিফ পদের দায়িত্ব নিতে চলেছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শংকর ওরফে মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়। বিগত শেরিফ পদটি অলংকৃত করেছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জর্জ কলকাতার শেরিফের পদটি শুরু করেছিলেন। মহানগরের প্রথম শেরিফ ছিলেন জেমস ম্যাকরেবে। তাকে নিয়োগ করেন তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি স্যার এলিজা ইম্পে। রমেশ কেন্দ্র মজুমদার, বসন্ত চৌধুরী, সুচিত্রা মিত্র, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রণজিৎ মল্লিকের মত ব্যক্তিত্ব এক সময়ে শেরিফের দায়িত্ব সামলেছেন।
শংকর ১৯৩৩সালের ৭ ডিসেম্বর যশোরের বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরে হাওড়ায় আসেন তাঁরা| এখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা এবং কর্মজীবন। পেশাগত জীবনে বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন শংকর। কাজ করেছেন শেষ ইংরেজ ব্যারিস্টার নোয়েল ফ্রেডরিক বারওয়েলের অধীনে। তাঁর লেখা উপন্যাস 'সীমাবদ্ধ', 'চৌরঙ্গী', 'জনঅরণ্য', 'কত অজানারে', 'নিবেদিতা রিসার্চ ল্যাবরেটরি' প্রভৃতি শুধু সাহিত্যের অঙ্গনকেই সমৃদ্ধ করেনি, সিনেমা জগৎকেও করেছে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে নিবেদিতা রিসার্চ ল্যাবরেটরি-কে কেন্দ্র করে টিভি সিরিয়াল তৈরী হয়েছিল। স্বয়ং সত্যজিৎ রায় তাঁর লেখা 'জনঅরণ্য' এবং 'সীমাবদ্ধ'-কে বাছাই করেছিলেন তাঁর ছবির গল্প হিসেবে।
এ-হেন ব্যক্তিত্বকে শেরিফ হিসেবে পেয়ে আমরা কলকাতাবাসীর অবশ্যই গর্বিত।