মাঝরাতে বাথরুম থেকে অদ্ভূত শব্দ| কৌতূহলবশত ঘুম জড়ানো চোখে এগিয়ে গেলেন বাথরুমের দিকে| না, কোনো ব্লাডি মেরি নয়, বাথরুমে পৌঁছে দেখতে পেলেন যে দৃশ্য তা সেই রাতের বাকী ঘুমটুকু ওড়ানোর জন্য যথেষ্ট| কী ছিল সেই বাথরুমে যা একজন মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিলো? অবাক হচ্ছেন তো? নিশ্চয়ই ভাবছেন ভূল কোনও খবর দিতে এসেছি? না, একেবারেই সেরকম কিছু নয়| চলুন তাহলে ঘটনাটি খুলেই বলা যাক….
ঘটনাটি গুজরাটের| সেখানকার বরোদা শহরের বাসিন্দা মহেন্দ্র পাড়িয়ার যার ঘুম ভাঙে মাঝরাতে বাথরুম থেকে আসা এক অদ্ভুত শব্দের কারণে| কৌতুহলবশত শব্দসন্ধানে এগিয়ে যান বাথরুমের দিকে| বাথরুমের সামনে পৌঁছে তিনি ভেবেছিলেন শব্দটির উৎসটি হয়তো কোনো বিড়াল যে ভূলবশত বাথরুমে আটকে পড়েছে| এইসব ভেবে তিনি যেই বাথরুমের দরজা খোলেন, দেখেন মেঝেতে শুয়ে জ্বলজ্বল করা চোখ নিয়ে তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন একটি কুমির!
মহেন্দ্রবাবু জানিয়েছেন, বাথরুমের দরজা খুলে তিনি দেখেন প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা একটি কুমির হাঁ করা মুখ নিয়ে তার দিকেই তাকিয়ে আছে| কিংকর্তব্যবিমূঢ় মহেন্দ্রবাবু তৎক্ষনাৎ ফোন করেন বনদফ্তরে| রাত প্রায় ২.৪৫ নাগাদ বন দফতর থেকে এসে নিয়ে যায় কুমিরটিকে|বন দফতরের তরফ থেকে জানিয়েছে, প্রায় এক ঘন্টার কসরতের পর অবশেষে ধরা দিয়েছেন কুমিরবাবু| মনে করা হচ্ছে, পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিশ্বামিত্র নদী থেকেই কোনোভাবে ডাঙায় উঠে এসেছিল কুমিরটি|