পেঁয়াজ এখন খবরের শিরোনামে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন পেঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধির জন্য। এই চিত্রটির পাশাপাশি আর একটি চিত্র উঠে এসেছে কর্ণাটকের এক কৃষকের ভাঁড়ার থেকে। ওই কৃষক তাঁর সমস্ত ঋণ শোধ দিয়ে দিয়েছেন নিজের চাষ করা পেঁয়াজের ফলনের সুবাদে। কোটিপতি মল্লিকার্জুন এখন স্থানীয় এলাকার হিরো।
চিত্রদুর্গ জেলার দুদ্দাসিদ্দাভানাহাল্লি গ্রামের এক চাষি মল্লিকার্জুন তাঁর ক্ষেতে উৎপাদিত পেঁয়াজের ফলনের পর তা বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা লাভ করলেন। পেঁয়াজের এই চড়া দামের পুরোপুরি ফায়দা তুলে নিলেন মল্লিকার্জুন। ঋণ নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করে ৪২ বছর বয়সী ওই কৃষক যথেষ্ট রিস্ক নিয়েছিলেন। মল্লিকার্জুনের কথায়, যদি পেঁয়াজের ফলন ভাল না হত, তাহলে তিনি দেনার দায়ে ডুবে যেতেন। কিন্তু সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে তিনি যথেষ্ট ভাগ্যবান। তিনি জানিয়েছেন, মোট ২৪০টন পেঁয়াজ তুলেছিলেন তিনি (যা মোটামুটি ২০ ট্রাকলোডের সমান)। সেই পেঁয়াজ তিনি বিক্রি করেছেন ১০০ টাকা প্রতি কেজিতে। মল্লিকার্জুন ১৫ লাখ টাকার চাষ করেছিলেন, ভেবেছিলেন ৫-১০ লাখ টাকা লাভ করবেন। কিন্তু তিনি জ্যাকপট পেয়ে যান। তিনি এখন কোটিপতি। বেঙ্গালুরু থেকে ২০০ কিমি দূরের চিত্রদুর্গ গ্রাম এবং তার আশপাশের অঞ্চলের তিনি এখন সেলিব্রিটি।
মল্লিকার্জুন জানাচ্ছেন, সমস্ত দেনা শোধ করে তিনি এখন বাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও চাষ করার জন্য আরও কিছু জমি কেনার কথাও ভাবছেন তিনি। বিগত বেশ কিছু বছর থেকেই মল্লিকার্জুন পেঁয়াজের চাষ করছেন তেমন বলার মত লাভ করেননি কোনোবারই। কিন্তু এবারের ফলন এবং বাজারের অবস্থা তাঁর নিজের অর্থনৈতিক চিত্রটাই বদলে দিয়েছে।