এখানে মহালয়া থেকেই সূচনা হয়ে যায় পুজোর। তবে, এখানে ২০০ বছরের এক রীতি এখনও গ্রামের মানুষেরা মেনে আসছে। মহালয়ার পরের দিন থেকে নিরামিষ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
দশমীতে দেবি দুর্গার বিসর্জন হয়ে যাওয়ার পর আবার গ্রামে শুরু হয় আমিষ খাওয়া। মালদহের গাজোল ব্লকের চাকনগর কায়েপাড়ায়, এই গ্রামের মঙ্গল কামনায় এই রীতি মেনেই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোয় বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন দুর দূরান্ত থেকে ।
পুজোর কটা দিন মণ্ডপে দেবী দুর্গার ভোগ হিসেবে থাকে পাঁচ রকমের মিষ্টি। যেমন পান্তুয়া, কানসাট, রসগোল্লা, লালমোহন, রসকদম্ব এবং সন্দেশ। এছাড়াও থাকে লুচি ও সুজি।
পুজোর উদ্যোক্তা শম্ভুনাথ রায় এই বিষয়ে এক সংবাদ মধ্যমে জানিয়েছেন যে গ্রামের প্রত্যেকেই এই প্রাচীন রীতি মেনে আজও নিরামিষ খায়। মহালয়ার পর থেকে দশমী পর্যন্ত নিরামিষ খাওয়ার প্রচলন রয়েছে গ্রামে। মা খুব জাগ্রত। পুজো উপলক্ষে গ্রামে বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়।
পুজোর দিনগুলোয় মণ্ডপ প্রাঙ্গনে কোনও রকম আমিষের ছোঁয়া থাকে না। অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের পুজো হয়। অষ্টমীর দিন এখানে অঞ্জলি দেওয়ার জন্যে সবাই চলে আসে বহু জায়গা থেকে। মেলায় প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। গাজোলের প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে এই পুজো একেবারে অন্যতম এবং জানা গিয়েছে যে গ্রামের সকলে মিলে পুজোর আয়োজন করে থাকেন।
এই পুজোর সূচনা ঘিরে নানা কথা প্রচলিত রয়েছে। তবে স্থানীয়দের কাছ থেকে শোনা যায় যে প্রায় ২০০ বছর আগে টাঙ্গন নদীতে মায়ের কাঠামো ভেসে ওঠে, সেই কাঠামো সংরক্ষণ করা হয় গ্রামে। পরে স্বপ্নাদেশে মায়ের পুজো শুরু হয়। তবে, এখন কমিটি গড়ে পুজো করা হয়। তদের মতে এখানে দেবী খুবই জাগ্রত।
দেখা গিয়েছে যে পুজোতে পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারাও মায়ের দর্শনের জন্য আসেন।