ভারতবর্ষের পড়শিদেশ বাংলাদেশ আন্দোলনের আগুনে ছিন্নভিন্ন। কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে গর্জে উঠেছে তারা। তাই এই আবহে সোমবার ও মঙ্গলবার বাতিল হল কলকাতা থেকে বাংলাদেশগামী ট্রেন, মৈত্রী এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে কলকাতায় ফেরার মৈত্রী এক্সপ্রেসও ক্যান্সেল করেছে পূর্ব রেল। জানা গেছে, টিকিটের ভাড়া ফিরিয়ে দেওয়া হবে যাত্রীদের।
হাইলাইটস:
১। বাতিল হল মৈত্রী এক্সপ্রেস।
২। টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়া হবে যাত্রীদের।
৩। কীভাবে ভাড়া ফেরত পাবেন যাত্রীরা?
ছাত্র আন্দোলনে পুড়ছে বাংলাদেশ। গত ৫ই জুলাই থেকে সেই দেশের ছাত্র থেকে সাধারণ নাগরিক নির্বিশেষে প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়ে পথে নেমেছে। এই আন্দোলন সেই দেশের সরকারী চাকরিতে কোটা সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমান অধিকার চাইছে তারা। সমান শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাক যোগ্য মানুষ- এই দাবিতেই চলছে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন।
তবে প্রতিবেশী দেশের এই বিদ্রোহের আঁচ পড়েছে ভারতের উপরও। প্রায় ১৫,০০০ ভারতীয় নাগরিক বসবাস করে বাংলাদেশে। আর প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশে পাড়ি দেয় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। সেই কারণেই ভারত থেকে বাংলাদেশগামী ট্রেনগুলির চাহিদা থাকে সারাবছর। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে সাবধানতা অবলম্বনেই ট্রেন বাতিল করেছে পূর্ব রেল। কারণ, গত কয়েক দিনে ভারত-বাংলাদেশগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস ও মিতালী এক্সপ্রেসের পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। তবে একারণে কোন ক্ষতির মুখে পড়তে হবেনা সাধারণ মানুষকে। টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দেবার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
কলকাতা স্টেশনের বিশেষ টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিটের ভাড়া ফেরানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এবিষয়ে যাত্রীদের কাছে টিকিট থাকা অবশ্য প্রয়োজনীয়। টিকিট না থাকলে কোনোভাবেই ভাড়া ফেরাতে পারবে না রেল। বিদেশি যাত্রীদের ক্ষেত্রেও টিকিটের সম্পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু টিকিট জমার কোনও রশিদ (টিডিআর) দেওয়া হবে না যাত্রীদের। এই ব্যবস্থা যাত্রী সংরক্ষণ ব্যবস্থার (পিআরএস) কাজের সময়ের মধ্যেই করা হবে।