সঙ্গীতজীবনের ৩১ বছরে এসে মহানায়ক সম্মান পেলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। এই প্রথম কোন গায়ক সম্মানিত হলেন এই সম্মানে। পুরস্কারে উৎসাহিত তিনি।
হাইলাইটসঃ
১। ‘মহানায়ক সম্মান’ পেলেন নচিকেতা।
২। সঙ্গীতজীবনের ৩১ বছরে এসে সম্মানিত হলেন তিনি।
৩। কী জানালেন গায়ক?
পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান পুরস্কার এই মহানায়ক সম্মান। বাংলার মহানায়ক উত্তমকুমার। তাই আগে সম্মান জানাতে বিগত কয়েক বছর ধরে এই পুরস্কারের আয়োজন করেছে সরকার। বাংলার বুকে যে সমস্ত কলাকুশলীরা দক্ষতার সাথে নিজেদের প্রতিভায় সাধারণ মানুষকে মুগ্ধ করে, তাদেরকেই সম্মান জানাতে এই আয়োজন। তবে বিগত কিছু বছর ধরে মূলত অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই এই পুরস্কার গ্রহণ করেছিল। কিন্তু গানজগতে এই প্রথম কোন গায়কের ‘মহানায়ক’ সম্মান প্রাপ্তি।
নচিকেতা চক্রবর্তীর গানের জগতে প্রবেশ ১৯৯৩ সালে। তারপর থেকেই তিনি গেয়ে চলেছেন একের পর এক কালজয়ী গান। একক অ্যালবাম থেকে সিনেমা, সব জায়গাতেই তিনি তার দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তার গানের বিষয় ছিল জীবনমুখী ভাবনা। তার বৃদ্ধাশ্রম, নীলাঞ্জনা ও যখন সময় ইত্যাদি নানান গান চিরকালীন। তবে মহানায়ক সম্মান তার কাছে এসেছে প্রায় ৩১ বছর পরে।
অনুষ্ঠানের পরে তিনি জানান, এখনও তার নামে হল ভর্তি হয়। টিকিট বিক্রি হয়। এর থেকে বড় সম্মান বা পুরস্কার আর কিছুই নেই।
ওইদিন তার সাথে সাথে মহানায়ক সম্মান পান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রুক্মিনী মৈত্র এবং অম্বরীশ ভট্টাচার্যও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রোগ্রাম। প্রিয় গায়কের এই সম্মানে উৎসাহিত তার অনুরাগীরা।