সিরাজের বাবাকে হত্যা করেছে মুস্তাফা খাঁ। সিরাজের বাবার কাটা মুণ্ডু মুর্শিদাবাদে পাঠিয়ে যুদ্ধের জাল বিছিয়েছিল মুস্তাফা খাঁ।
বাংলার ভাবী নবাব সিরাজ উদ দৌল্লা’ও কম নয়। বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ সে নেবেই। তাই সেনাবাহিনীকে নিয়ে পাটনায় পৌঁছয় সে। মীরজাফর সেখানেও সিরাজকে মারার ফন্দি আঁটছে। সে নিশ্চিত ছিল মুস্তাফা খাঁ-এর হাতে সিরাজের মৃত্যু অনিবার্য। মুস্তাফা খাঁ-কে সিরাজের যাবতীয় খবরাখবর চালান করত মীরজাফরই। কিন্তু গুটি গেল উল্টে। মুস্তাফা খাঁ’কে শেষ পর্যন্ত পরাস্ত করল সিরাজ।
ওদিকে কারাগারে আমিনাকে খুঁজে পেয়েছে লুতফা। সিরাজ আর লুতফা মিলে আমিনাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে। সকলে মিলে ফিরে আসে চেহেলসেতুনে। লুতফার সাহস আর ভালবাসাতে মুগ্ধ হয় আমিনা। তাকে নিজের মেয়ের আসনে বসায় আমিনা। শুধু তাই নয়, লুতফাকে সিরাজের বেগমের সম্মান দিয়ে তার মাথায় বেগমের মুকুট পরিয়ে দেয় আমিনা। সারফুন্নিসা বেগমের মুখে হাসি ফোটে। আজ বড় খুশি সিরাজ। মায়ের ভালবাসায় চোখ দিয়ে জল গড়ায় লুতফার। আর তেলে বেগুনে জ্বলছে ঘসেটি বেগম এবং জেবুন্নিসা। গোটা ব্যাপারটায় হতভম্ব হয়ে যায় মীরজাফর। তারপর? উত্তরের ঝাঁপি সাজানো আছে আগামী সপ্তাহের পর্বগুলিতে। আর কেমন লাগছে মুকুট পরে লুতফাকে?
জানতে হলে দেখতে থাকুন ‘আমি সিরাজের বেগম’, সোম থেকে শুক্র রাত সাড়ে ৯ টায়, স্টার জলসায়।