ব্যক্তিগত আয়করে কর ছাড়ের কথা ভাবছে কেন্দ্র। শিল্পমহলকে গতমাসেই সুসংবাদ দিয়ে কর্পোরেট কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় কর ছাড়ের ঘোষণাও হয়েছে। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল ব্যক্তিগত কর ছাড় দিলে ভাল হয়। কর্পোরেট কর যেখানে ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হল, সেখানে ব্যক্তিগত কর ৩০ শতাংশ রেখে দেওয়া বৈষম্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
যদি এইরকম কর ব্যবস্থায় বৈষম্য থেকে যায়, তাহলে পাবলিক স্পেন্ডিং সমস্যার সমাধান হবেনা। দেশের মূল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার গলদ হল, বর্তমানে গ্রামের তথা শহরের মানুষ খরচ করা থেকে বিরত থাকছেন। তাই সামগ্রিকভাবে টান পড়েছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। শুধুমাত্র অটোমোবাইল সেক্টরই নয়, প্রায় সমস্ত পণ্যের বাজারেই এখন সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ কমে গিয়েছে তুলনামূলকভাবে বিভিন্ন সেক্টরের ক্রেতা। একদিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ নেমে যাওয়া, পাবলিক স্পেন্ডিং কমে যাওয়া, শিল্পমহলের পক্ষ থেকে শিল্পস্থাপনে অনাগ্রহ, বিদেশী লগ্নি কম, উৎপাদন ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার নেগেটিভ মার্কিং-এ চলে যাওয়া, প্রভৃতি বেশ কিছু নেতিবাচক সমস্যায় ভুগছে ভারতীয় অর্থনীতি।
তাই সাধারণ মানুষের হাতে অর্থ রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে অর্থমন্ত্রক। ব্যক্তিগত আয়করের ধাপগুলি পরিবর্তন করার প্রয়াস শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রক। এ কথা অনস্বীকার্য, অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানোর লক্ষ্যেই বাজেটে প্রস্তাবিত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার। মনে করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের মুখের হাসি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।