ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা হলেন সুনীল ছেত্রী। পুসকাসকে ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি, তিনি ভারতীয় ফুটবলের একুশ শতকের সবচেয়ে বড় কিংবাদন্তী। তবে তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে, সুনীল কিন্তু বাংলার জামাই। তদানিন্তন ব্যাঙ্গালোর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সুনীল। দ্রোনাচার্যের ভূমিকায় পেয়েছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। সেই কোচের বাড়ির জামাই হলেন সুনীল। সদ্য কলকাতায় খেলতে আসা খেলোয়াড় সুনীলের পরদর্শিতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন কোচ সুব্রত। বাড়ি এসে নিয়মিত সুনীলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েই থাকতেন সুব্রত। তাতেই কৌতূহলের উদয় হয় সুব্রত কন্যা সোনমের।
সেই আগ্রহই বদলে গেলে প্রণয়ে। খুব ছোট্ট বয়স থেকে একে অপরকে চেনেন সুনীল ও সোনম। শুরু হয় প্রেম পর্ব। বাড়ির কেউ না জানলেও, সুব্রত পুত্র সোনমের ভাই সাহেব জানতেন বিষয়টি। কিন্তু দেখা করাই বা কদ্দিন চলবে। একদিন সটান পৌঁছে গেলেন কোচের বাড়িতে। এক্কেবারে ভোর বেলায় ৫ টা নাগাদ সুনীল পৌঁছলেন কোচের বাড়ি। একেবারে ফিল্মি ব্যাপার। মেয়ের বাবার কাছ থেকে চেয়ে নিলেন প্রেয়সীর হাত।
গল্পটা বেশ মজার। শোনা যায়, ২০১৭-এর ১৫ ডিসেম্বর গোপনে বান্ধবী সোনমের সঙ্গে কলকাতায় এসে দেখা করে গিয়েছিলেন সুনীল। কিন্তু কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যের সামনে কি করে সোনমকে বিয়ে করার কথা বলবেন বুঝতে পারছিলেন না, সুনীল। বেশ ভয়ে ভয়েই ছিলেন সুনীল। কিন্তু একথা জানার পর সুনীলের বিয়ের প্রস্তাব খুশি মনেই মেনে নিয়েছেন সুব্রত। তারপরেই সুনীলের বাবা-মা দেখা করতে আসেন বিয়ে কথা পাকা করতে। সোনম আর সুনীলের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম জল্পনা শুরু হয়, যখন সুনীলের একটি ম্যাচ দেখতে দাদা সাহেব ভট্টাচার্যর সঙ্গে গোয়া যান সোনম।
সুনীল গিয়েছিলে ফর্মাল পোশাকে, অত ভোর প্রিয় ছাত্রকে দেখে প্রথমটায় চমকেই গিয়েছিলেন কোচ। কিন্তু সব শুনে রাজি হলেন। মেয়ের প্রেমে ভিলেন না হয়ে, সদানন্দে মত দিলেন বিয়েতে। এরপরেই ২০১৭তে সুনীল তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী, প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যের মেয়ে সোনম ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেন। তাঁদের সুখী দাম্পত্য জীবন অটুট থাক।