ভগবানকে যে ভোগ উৎসর্গ করা হয় উনি কি সত্যি তা গ্রহণ করেন? এই নিয়ে বিস্তর মতভেদ থাকতেই পারে, কিন্তু আজ সন্ধান দেব অন্ধ্রপ্রদেশে মঙ্গলগিরি পর্বতে অবস্থিত পনকম নৃসিংহদেব মন্দিরের এক অদ্ভুত ঘটনার, যার ব্যাখ্যা দেওয়া খুব সহজ নয়। কারণ এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও উত্তর মেলেনি। বলব সেই কথাই, সাথে বলব পনকম বানানোর পদ্ধতি।
এই মন্দিরে প্রতিদিন স্বয়ং নৃসিংহদেব এক বিশেষ সময়ে প্রকট হন, গ্রহণ করেন উৎসর্গীকৃত প্রিয় পানীয় 'পনকম', শোনা যায় তার শব্দ। এই মন্দিরে নৃসিংহদেব চার হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম নিয়ে তাঁর বিশাল মুখ ও গহ্বর বিস্তার করে আছেন। প্রতিদিন পূজারী পনকম উৎসর্গ করার পর জলশঙ্খ দিয়ে তা ঢেলে দেন বিগ্রহের মুখে এবং জল খাওয়ার মতো আওয়াজ শোনা যায় এবং আশ্চর্যের বিষয় অর্ধেক হয়ে গেলেই সেই আওয়াজ আর শোনা যায়না, ধরে নেওয়া হয় তিনি তৃপ্ত, তাই বাকি অর্ধেক পনকম দেওয়া হয় ভক্তদের প্রসাদ হিসেবে। রোজই এই একই ঘটনা ঘটে অগণিত ভক্তের সমুখে। সেই পানীয় যে কোথায় যায় তা পরীক্ষা করেও জানা যায়নি; আপনিও চাইলে সাক্ষী হতে পারেন। না হলে পনকম বানিয়ে ভোগ দিতে পারেন। কি করে বানাবেন! রইল রেসিপি।
প্রণালী: একটি বড় পাত্রে ১ লিটার জল নিয়ে তার মধ্যে ২ টেবিল চামচ তেঁতুলের কাত, ২ টেবিল চামচ আদার রস, ১০ টেবিল চামচ আঁখের গুড় (তাল বা খেজুরের গুড় ব্যবহার করা যেতে পারে), ১ চা-চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো, থেঁতো করা ২ টো এলাচ ও কর্পূর (খাদ্যোপযোগী), মিশিয়ে একটা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরী পনকম। তুলসী দিয়ে নিবেদন করুন আর কৃপাধন্য হন।
এই একইভাবে দক্ষিণ ভারতের মন্দিরে বানানো হয় পনকম, তবে গুড় না পেলে মিশ্রী বা চিনি আর তেঁতুল না পেলে পাতিলেবুও ব্যবহার করতে পারেন। তাই দেরি না করে বানিয়ে ফেলুন। এমনিতেও স্বাস্থ্যকর এই পানীয় ওজন কমাতে সহায়ক। তাই বানিয়ে ফেলুন নির্দ্বিধায়।