ননীচোরা কী কী খেতে ভালোবাসে, জানেন?

তিনি কারুর কাছে ননীচোরা, কারুর কাছে ননী গোপাল, কারুর কাছে নাড়ু গোপাল। শ্রীকৃষ্ণ তখন শ্রীকৃষ্ণ হয়ে ওঠেননি। বাল্যলীলায় গোকুল মাতাচ্ছেন। মাথায় চূড়ো করে বাঁধা চুল, তাতে শিখি পাখা। আর মনমোহিনী হাসি। যশোদানন্দন ননী ক্ষীর মাখন খেতে বড় ভালোবাসতেন। দুপুরের অবসরে দুধের ঘোল থেকে ঘি-মাখন বানাতেন মাতা, যশোদানন্দন আসতেন মায়ের হাতের মাখন খেতে। চুরি করে ননী খাওয়ায় তার বড় আনন্দ। শুধু খেয়েই ক্ষান্ত নয়, গায়ে মেখেও মজা। দস্যি গোপালের এহেন কান্ডকারখানা শুধু যশোদা মায়ের আলয়েই নয়, পাড়া পড়শীর ঘরেও চলত। খেতে সে বড় ভালোবাসে। তাই প্রতি জন্মাষ্টমীতে প্রসাদের থালায় অন্য সব কিছুর সঙ্গে ননীচোরার প্রিয় পদও দেওয়া হয়।

FotoJet - 2022-08-05T174506.844

বালগোপাল বা শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ সবই বাড়িতে তৈরি করার নিয়ম। সনাতন মতে প্যাকেটবন্দী প্রসাদ দেওয়ার খুব একটা নিয়ম নেই। শ্রীকৃষ্ণের ভোগ রান্নার আগে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জরুরি। ফল এবং মিষ্টির সঙ্গে ক্ষীর, তালের বড়া, মালপোয়া, মাখন মিছর, এবং পঞ্জিরী দেওয়া হয়। এছাড়াও থাকে কয়েকটি বিশেষ ভোগ।

 গোপালকলা- আগের দিন রাত থেকে মুগডাল ভিজিয়ে রাখতে হয়। নারকেল কুরে তার মধ্যে কলা, আপেল, আঙুরসহ সমস্ত ফল ছোট্ট ছোট্ট করে কেটে ওই ডালের সঙ্গে চিনি দিয়ে মাখতে হয়। কলার ভাগ একটু বেশি থাকে। নৈবেদ্যর আকারে নিবেদন করা হয়।

মোহন ভোগ- ঘি, নারকেল, শুকনোফল, কাজু, কিশমিশ আর সুজি দিয়ে তৈরি হয় মোহন ভোগ। লুচির সঙ্গে নিবেদন করা হয় শ্রীকৃষ্ণকে। মোহন ভোগ বাঙালি ভোগের পুরনো ঐতিহ্য।

শ্রীখণ্ড- শ্রীখণ্ড তৈরী হয় দই দিয়ে। তবে পশ্চিমবঙ্গে তেমন চল না থাকলেও অন্যান্য প্রদেশে প্রসাদের থালিতে শ্রীখণ্ড থাকবেই।

তালক্ষীর- তাল, দুধ, চিনি আর আর নারকেল সঙ্গে থাকে কাজু কিশমিশ। এই উপকরণ দিয়ে তৈরী হয় তালক্ষীর। তালের বড়া আর তালক্ষীর জন্মাষ্টমীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...