আজ ছাপ্পান্ন ভোগের এমন এক মিষ্টির কথা বলব যার সাথে আছে মগজাস্ত্রের নিবিড় সংযোগ। নামেই খানিক আন্দাজ পাওয়া যাবে তার। আর বলতে দ্বিধা নেই এই মিষ্টি বানাতে স্বয়ং মা লক্ষ্মীকেও মগজাস্ত্রের প্রয়োগ করতে হয়েছিল বটে। সেই কথাই বলবো সাথে রেসিপিও।
বলছি শ্রী মন্দিরে প্রতিদিন দ্বিপ্রহর ধুপভোগে অর্থাৎ দুপুর ২টোর ভোগে উৎসর্গীকৃত সুখিলা ভোগের অন্তর্গত মগজ নাড়ুর কথা। পুরান মতে, জগন্নাথ দেবের শখ হয় মিষ্টির এক ভিন্ন স্বাদ সেবনের। আর মিষ্টির মধ্যে একটু অনন্য স্বাদ আনতেই মা লক্ষ্মী এর উদ্ভাবন ঘটান। এই নাড়ুর বিশেষত্ব হল মিষ্টির মধ্যে হালকা ঝালের মিশেল। রথযাত্রার সময় রথে থাকাকালীন জগন্নাথদেবকে কোনো অন্নভোগ দেওয়া হয় না, আর এই মিষ্টি মা লক্ষ্মী নিজে হাতে বানিয়ে তার প্রধান অনুচরকে দিয়ে জগন্নাথ স্বামীকে পাঠিয়ে দেন। আর তা যে তাঁর অত্যন্ত প্রিয় সে তো বলাই বাহুল্য। আপনিও খুব সহজেই নামমাত্র অনুপানে স্বল্প সময়েই বানাতে পারেন এই মগজ নাড়ু। রইল রেসিপি।
উপকরণ: ১ কাপ আটা, ২টো এলাচ, ৪-৫ টা গোলমরিচ, ঘি - ১/৩ কাপ (এক্ষত্রে বলে রাখা ভালো যে আটা ও ঘি এর পরিমান হবে ৩:১, অর্থাৎ যদি ৩ কাপ আটা হয়, তাহলে ১ কাপ ঘি। এখানে ১ কাপ আটা তাই ১/৩ কাপ ঘি), ১/২ কাপ মিছরির গুঁড়ো, কাজু বাদাম।
প্রণালী: কড়াইতে এলাচ, গোলমরিচ ভেজে তুলে নিয়ে, ঘি গরম তার মধ্যে আটা দিয়ে লো ফ্লেমে ক্রমাগত নাড়িয়ে ভালো করে ভাজতে হবে না হলে আটা পুড়ে যাবে। মিনিট দশেক কম আঁচে ভাজার পর গ্যাস বন্ধ করে মিছরির গুঁড়ো,ভাজা এলাচ, গোলমরিচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে হালকা গরম অবস্থায় হাতে চেপে নাড়ুর আকারে গড়ে নিলেই তৈরী মগজ নাড়ু। তবে গায়ে যেন কোনো ক্র্যাক না থাকে, আর তেল ব্যবহার করলে আটার পাক ছেড়ে যাবে, এতে নাড়ু ভালো হবে না। এবার সাজিয়ে কাজু বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন মগজ নাড়ু বা তুলসী দিয়ে ভোগ নিবেদন করে কৃপাধন্য হন আপনিও।