শ্রীমন্দিরের এনার্জি ড্রিঙ্ক: টঙ্ক তরণী

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আনন্দবাজারে এমন এক এনার্জি ড্রিঙ্কের সন্ধান মিলবে যা ভোগ না হলেও ভোগ। অবাক লাগলেও বিষয়টা সত্যি। এই পানীয় জগন্নাথ দেবকে ভোগ দেওয়া হয় না, তবে উৎসর্গীকৃত ভোগ দিয়েই তৈরী হয়। কী সেই এনার্জি ড্রিংক? কীভাবে তৈরী হয় এই পানীয়? বলব সেই কথাই।

বলছি টঙ্ক তরণী বা টঙ্ক পান্নার কথা। ছাপ্পান্ন ভোগে যে অন্ন ভোগ দেওয়া হয় তার বিতরণের পরেও অনেকখানি বেঁচে যায়। আর সেই বেঁচে যাওয়া অন্ন দিয়েই তৈরী হয় এই টঙ্ক তরণী। এবার বলব রেসিপি।

উপকরণ: ধনেপাতা, লেবুপাতা(৫টি), ১/২ কাপ টক দই, ১ চা-চামচ বাটা আমআদা, ৪টে কাঁচালঙ্কা, ১ চা-চামচ গোলমরিচ, ২ চা-চামচ ভাজা জিরের গুঁড়ো, ২ কাপ ভাতের মাড় সাথে ৪ কাপ জল, স্বাদ মতো নুন, সামান্য মিছরি গুঁড়ো। আমআদা না পেলে আমচুর পাউডার বা কাঁচা আম ও সাথে আদা ব্যবহার করতেই পারেন। শ্রীমন্দিরে চিনি নয় ব্যবহার হয় মিছরি আর গুড়। তাই এতে মিছরি ব্যবহার করা হয়।

TonkoToroni1

ফোড়নের জন্য প্রয়োজন ২ চা-চামচ সর্ষের তেল, ১ চা-চামচ কালো সর্ষে, ১/৪ চা-চামচ হিং, ২টো শুকনো লঙ্কা, কারিপাতা।

প্রণালী: সেদ্ধ অন্ন (ভাত), ২টো লেবুপাতা, ২টো লঙ্কা, ধনেপাতা, ১ টেবিল চামচ জল, ১ চা-চামচ মিছরি গুঁড়ো দিয়ে মিক্সিতে পেস্ট বানিয়ে তা ভাতের মাড়ে দিয়ে টক দই, আমআদা, নুন, লেবুর রস, ভাজা জিরের গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো সহযোগে ভালো করে মেশাতে হবে।

এবার সর্ষের তেলে শুকনো লঙ্কা, হিং, কারিপাতা ফোড়ন দিয়ে তা ওই মিশ্রনে মিশিয়ে লেবুপাতা, ধনেপাতা, লঙ্কা দিয়ে মেশালেই তৈরী জগন্নাথের এনার্জি ড্রিংক - টঙ্ক তরণী। টক-ঝাল-হালকা মিষ্টির মিশেলে বানিয়ে ফেলুন এই অসাধারণ পানীয়, রইল রেসিপি আর স্বাদ? সে তো অনুপানেই খানিক আন্দাজ হয়, তাও সে যে অসাধারণ সে তো বলাই বাহুল্য।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...