ইউরোপের বুকে বিশ্ব বাঙালির সবচেয়ে বড় মিলনমেলা লন্ডন মহোৎসব। আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে এই উৎসব। জানা গিয়েছে এপ্রিল মাসের ২০ এবং ২১ তারিখ লন্ডনের ওয়েম্বলিতে সত্তাভিস পতিদার সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লন্ডন মহোৎসব।
"নতুন একটা ব্র্যান্ড হতে চলেছে লন্ডন মহোৎসব। এর মূল লক্ষ্য বাংলা তথা ভারতীয় সংস্কৃতিকে ফের একবার প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তুলে ধরা।" গত মঙ্গলবার ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সিইও এবং লন্ডন মহোৎসব কমিটির সভাপতি শঙ্কু বোস, দুজনে মিলে এমনটাই জানালেন সকলকে।
মঙ্গলবারের ওই সম্মেলনে শঙ্কু বোস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লন্ডন মহোৎসব কমিটির সম্পাদক ও ক্যান্ডিড ইউ কের কর্ণধার সায়ন্তন দাস অধিকারী, কমিটির সহ সভাপতি অরুণাভ ব্যানার্জি, ক্যান্ডিড কমিউনিকেশনের ডিরেক্টর স্বাতী চক্রবর্তী। এছাড়া এদিন লন্ডন মহোৎসব কমিটির চেয়্যারম্যান দেবাশিস কুমার, চিফ অ্যাডভাইসর সত্যম রায়চৌধুরী, প্রোগ্রাম অ্যাডভাইসর ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় এবং সহ সভাপতি ফিরদৌসল হাসান ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
আরও জানা গিয়েছে যে এই লন্ডন মহোৎসবের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর হচ্ছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন মীর। এদিন তিনি আসতে না পারলেও উপস্থিত ছিলেন বাংলার সঙ্গীতজগতের প্রথমসারির নাম, যেমন লোপামুদ্রা মিত্র, জয় সরকার, সুরজিৎ চ্যাটার্জি, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার, দেবশঙ্কর হালদার, সাহানা বাজপেয়ী ও সামন্তক, তথাগত সেনগুপ্ত এবং আরও অনেকে।
অন্যদিকে, আয়োজক কমিটির সদস্য শুভম দত্ত, দেবাশিস দত্ত অনিবার্য কারণে আসতে না পারলেও উপস্থিত ছিলেন সুজয় সাহা এবং শর্মিষ্ঠা দাস। এছাড়া লন্ডন মহোৎসব নামটি যার দেওয়া সেই অর্য্যাণী ব্যানার্জি, তিনিও ছিলেন এই সম্মেলনে।
জানা গিয়েছে যে এই লন্ডন মহোৎসবে বাংলার বাণিজ্য থেকে শুরু করে সাহিত্য, সংস্কৃতি, সিনেমা, নানা ক্ষেত্রের তারকারা থাকবেন। এছাড়া খাওয়াদাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাংলার ঐতিহ্য সবই থাকছে এখানে। এছাড়া অনুষ্ঠানের লিটারারি পার্টনার হচ্ছেন ডাকবাংলা ডট কম।
এই বিষয়ে সায়ন্তন দাস অধিকারী জানান যে এই লন্ডন মহোৎসবের বিশেষত্ব হল মূল অনুষ্ঠানের আগে ১৯ এপ্রিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অফ লর্ডসে একটা প্রাক অনুষ্ঠান করবেন তাঁরা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ব্রিটেনের লর্ড এবং ব্যারোনেসরা। তাঁদের উপস্থিতিতে সম্মান জানানো হবে কৃতীদের। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফে কলকাতা বইমেলা হবে এই লন্ডন মহোৎসবে। ২১ এপ্রিল অর্থাৎ অনুষ্ঠানের শেষ দিন পরবর্তী লন্ডন মহোৎসবের তারিখ ঘোষণা করতে চান তাঁরা।
অন্যদিকে, সংস্থার তরফে উপস্থিত সঞ্চারী মুখার্জি জানিয়েছেন যে লন্ডন মহোৎসবের আগে অনুষ্ঠানকে ঘিরে একটা বই প্রকাশের চেষ্টা করবেন তাঁরা। এছাড়া জানা গিয়েছে যে বাংলাদেশ থেকে প্রখ্যাত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ অংশে লন্ডন মহোৎসবের অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ।