লোধা কমিটির সুপারিশ-ই কুলিং অফ-এ যাওয়ার অপেক্ষায়

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এর মুম্বই সদর দফতরে ১লা ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভার বৈঠকে নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন কমিটির সব প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের সীলমোহরের অপেক্ষা এবারে। লোধা কমিটির সুপারিশ সংশোধনের বিলটি পাশ হল এদিন বিসিসিআই-এর বার্ষিক সভায়। সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। উক্ত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ১১ মাস নয়, পুরো ছ'বছরের জন্য বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকার সুযোগ আসবে সৌরভের কাছে।

                                 ৮৮তম বার্ষিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যাবে বিসিসিআই। সূত্রের খবর, ৩ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টির শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্ট সম্মতি দিলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বোর্ড সভাপতি এবং তার সঙ্গী কর্মকর্তাদের নিজস্ব পদের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি। তবে আশা করা হচ্ছে, বোর্ডের তিন-চতুর্থাংশের সম্মতিতে পাশ হওয়া উক্ত প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে দেবে সুপ্রিম কোর্ট।

                উল্লেখ্য, তিন বছর পর সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বিসিসিআই-এর দায়িত্ব নিয়েছে। এর আগে সংস্থার দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের হাতে। দেশের শীর্ষ আদালত একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করে দিয়েছিল লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী। ওই কমিটি সুপারিশ করেছিল, জাতীয় বা রাজ্য ক্রিকেট প্রশাসনে ছ'বছর যুক্ত থাকার পর তিন বছরের জন্য কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। এদিন বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, প্রশাসনের সঙ্গে ছ'বছর যুক্ত থাকার পরেই কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে কাউকে। ওই প্রস্তাব পাশও হয়ে যায়। সভায় উপস্থিত প্রায় সকলেই নিয়ম সংশোধনের দাবিতে সম্মতি জানান। এছাড়াও ৭০ বছর এবং তার বেশি বয়সের কোনও ব্যক্তি, বোর্ড কিংবা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কোনও পদে থাকতে পারবেন কি না সেবিষয়েও নিয়ম সংশোধনের দাবি তোলা হয়েছে। অ্যাপেক্স কাউন্সিলের চূড়ান্ত অনুমোদন লাগবে এক্ষেত্রে।

               সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এ ব্যাপারে জানান, প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনীগুলি বোর্ডের কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৈরী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৭০ বছরের পুরোনো ধারাকে অপরিবর্তিত রেখেই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে ইতিমধ্যেই তাঁরা যে বাস্তব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তাও স্বীকার করেন সৌরভ। উল্লেখ্য, দায়িত্বভার গ্রহণ করেই বেশকিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দিন-রাতের টেস্ট এবং গোলাপি বলের খেলা মিলিয়ে দিয়ে ক্রিকেটে এক উন্মাদনার সঞ্চার করেন তিনি তা অনস্বীকার্য। তাই মূলত বোর্ড প্রেসিডেন্টের ওপর ভরসা রেখেই অন্যান্য সদস্যরা নতুন প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন। মূলত বোর্ডের হাতেই সব ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। এছাড়াও রবিবারের বৈঠকে স্থির হয়েছে, আইসিসি'র আসন্ন চিফ একজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। ঠিক হয়েছে, বোর্ডে একজন নতুন ওম্বুডসম্যান এবং এথিক্স অফিসার নিয়োগ করা হবে। এই দুটি পদ এতদিন সামলাচ্ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডিকে জৈন। রবিবারের বৈঠকে এও স্থির হয়, ভারতে এখন থেকে রাত-দিনের টেস্ট ম্যাচ মাঝে মাঝেই হবে। উল্লেখ্য, অ্যাপেক্স কাউন্সিল মেম্বার, জয় শাহ এবং অরুন ধামাল-এর সম্মতিতে মাত্র তিন দিনের মধ্যে দিন-রাতের টেস্ট করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিলতা এখন নিয়মিতভাবে চলবে

                      

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...