মঙ্গলবার সকাল সকাল হাওড়া শাখায় লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন। বিঘ্নিত হয়েছে ট্রেন চলাচল। ফলে, সপ্তাহের কাজের দিনে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে রেলযাত্রীদের!
জানা গিয়েছে এদিন ৭টা ৫ মিনিটে শেওড়াফুলি থেকে হাওড়ার দিকে আসছিল একটি ফাঁকা ইএমইউ ট্রেন। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে লিলুয়া স্টেশনের কাছে ডাউন মেইন লাইন থেকে রিভার্সিবেল লাইনে যাওয়ার সময়ে লাইনচ্যুত হয়ে যায় ওই ট্রেনটি। পিছনের দিক থেকে ট্রেনটির চার নম্বর কামরাটি লাইনচ্যুত হয়।আচমকা লাইনচ্যুত হওয়ার পরও বেশ কিছু দূর ঘষটাতে-ঘষটাতে এগিয়ে যায় ট্রেনটি। কোনও রকমে এর পর ট্রেনটিকে থামানো হয়।
রেল সুত্রে জানা গিয়েছে যে ঘটনার পরই ফলে, ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন স্টেশনে পর পর দাঁড়িয়ে পড়ে ব্যান্ডেল, বর্ধমান লোকাল। একটি ‘অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন’ পাঠানো হয়েছিল ঘটনাস্থলে ।
অন্যদিকে খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরাও। তাঁরা গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এরপরেই দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালান তাঁরা। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
পূর্ব রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে এদিন তিনটি আপ হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল বাতিল করা হয়েছে। ৩৭২২১, ৩৭২২৩ এবং ৩৭২২৫ লোকালগুলি বাতিল হয়েছে। এ ছাড়াও ৩৭২৩৬, ৩৭২৩৮ এবং ৩৭২৪০ ডাউন ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকালও চলবে না মঙ্গলবার। ফলে, আরও সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের।
খুবই ধীর গতিতে চলছিল ট্রেন। হাওড়া থেকে ছাড়া ট্রেনগুলিকে বেলুড় স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে আসা হচ্ছে হাওড়া-বর্ধমান আপ কর্ড লাইন দিয়ে। তার পর ট্রেনগুলিকে তোলা হচ্ছে হাওড়া-বর্ধমান আপ লাইনে। জানা গিয়েছে, সকাল ১১টা নাগাদ কাজ শেষ হতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
তবে, নিত্যযাত্রীরা দাবি করেছেন যে কাজ শেষ করলেও, পরিষেবা মোটেই স্বাভাবিক হয়নি। পাঁচ মিনিটের পথ পার হতে লেগে যাচ্ছে প্রায় আধ ঘণ্টা। এছাড়া প্রতিটি সিগন্যালেই দাঁড়িয়ে পড়ছে ট্রেন। ফলে, ভোগান্তি থেকে নিস্তার পাননি যাত্রীরা।