ভাষা হল সংযোগ স্থাপনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। অবস্থানের ভিত্তিতে নানা দেশে ভিন্ন ভাষাভাষির মানুষদেরা বসবাস করে। ফলে সেই দেশে নানা ভাষার বৈচিত্র্য দেখা যায়। তবে বিশ্বে এমনও দেশ রয়েছে যেখানে প্রায় কয়েকশো ভাষাভাষীর মানুষ রয়েছে।
হাইলাইটসঃ
১। এই দেশটির নাম হল পাপুয়া নিউগিনি
২। এখানে ব্যবহৃত হয় ৮৫০টি ভাষা
৩। কিন্তু শুধুমাত্র তিনটি ভাষাকেই সরকারি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়
এই দেশটির নাম হল পাপুয়া নিউগিনি। এটি ওশেনিয়ার ছোট একটি দেশ। তবে মাত্র ৭.৬ মিলিয়ন বাসিন্দা নিয়েও এখানে ব্যবহৃত হয় ৮৫০টি ভাষা। যা পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
পাপুয়া নিউগিনির পুরনো ভাষাগুলোকে বলা হয় ‘পাপুয়ান’। এগুলি প্রায় ৪০,০০০ বছর পুরোনো। পাপুয়া নিউগিনির আদি অধিবাসীরা এই ভাষাগুলি ব্যবহার করতেন। কিন্তু এই সমস্ত ভাষা ‘পাপুয়ান’-এর অন্তর্ভুক্ত হলেও এদের উৎপত্তির ভিত্তি কিন্তু এক নয়। মনে করা হয়, পাপুয়া নিউগিনির এই সমস্ত ভাষার উৎস হল তাইওয়ানীয়। এছাড়াও প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে এই দেশে কয়েকটি অস্ট্রোনেশীয় এবং উনিশ শতকের দিকে সেখানে ইংরেজ এবং জার্মানভাষীদের আগমন ঘটে।
কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পর এত ভাষার মধ্যে পাপুয়া নিউগিনি শুধুমাত্র তিনটি ভাষাকেই সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে টোক পিসিন ভাষা। এটি একটি ইংরেজি-ভিত্তিক ক্রেওল ভাষা। এটিই পাপুয়া নিউগিনিতে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ভাষা। এরপরে রয়েছে হিরি মোতু এবং ইংরেজি। হিরি মোতু একটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষা।
অর্থাৎ, পাপুয়া নিউগিনিই হল এমন এক দেশ যেখানে এত বিশাল সংখ্যক ভাষাভাষীর মানুষ একসাথে বসবাস করে।