ফরাসি সেনার চিঠি

আকাশ বিহারে কাজে লাগে ফানুস। কিন্তু ফানুসের মাধ্যমে যে চিঠিও পাঠানো যায় তা জানতেন কি?

এক সময়ের ফানুসের মাধ্যমে চিঠিও পাঠানো হত। কোনও মানুষ ছাড়াই। শুধুমাত্র চিঠি নিয়েই উড়ে যেত ফানুস। এমন তথ্য সামনে এসেছে।

  ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগের এক প্রকল্পে এই তথ্য সামনে এসেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু চিঠি। যেগুলির বয়স ১৪৫ বছর|

 ১৯৭০ সালে প্রাশিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ চলার সময় রাজধানী প্যারিসের সঙ্গে বাকি গোটা ফ্রান্সের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।

এদিকে প্রাশিয়া সেনাবাহিনী ফ্রান্সের উপকণ্ঠে হাজির। এই পরিস্থিতিতে যোগাযোগের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে এক ফরাসি সেনা বেছে নিয়েছিল ফানুস কে। উদ্ধার হওয়া  চিঠি থেকে জানা যায় যুদ্ধের পরিস্থিতি বিকল্প যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফানুস ব্যবহার করা হয়েছিল। ফরাসি সেনাবাহিনীর এক সদস্য তাঁর মাকে যুদ্ধের খবর দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠাতেন। চিঠিতে থাকতো যুদ্ধ পরিস্থিতির খবর। সেনাছাউনির জীবনে কেমন আছেন সেসব লিখতেন মাকে। ফরাসি সৈনিকের নাম চার্লস মেস নিয়ার। মায়ের নাম গ্রূসিয়ে। ১৯৭০ এর ৭ ডিসেম্বর এই চিঠি লেখা হয়। পৌঁছেছিল ১৬ ডিসেম্বর। বার্তাবাহক এর ভূমিকা পালন করে এক ফানুস

 চিঠিতে ওই সৈনিক নিজের মায়ের কাছে যুদ্ধ জয়ের আশা প্রকাশ করেছিলেন। পরে জানিয়েছিলেন যুদ্ধের বর্ণনা। হাজার রকম বাধার মুখোমুখি হয়েও জয়ের লক্ষ্যে এগোচ্ছে ফরাসি সেনা।

 শেষ পর্যন্ত অবশ্য যুদ্ধে জেতে ফরাসি সেনা। প্রশিয়া পিছু হটতে বাধ্য হয়।

 কিন্তু এরকম একটি চিঠি অস্ট্রেলীয় মিউজিয়ামে এলো কি করে, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর অবশ্য আর্কাইভের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন অধিকারই দিতে পারেননি।

উৎস জানা না গেলেও চিঠির বয়ান এবং চিঠি পাঠানোর মাধ্যম জানার পর সবাই হতবাক।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...