প্রচন্ড ব্যস্ততার ফাঁকে হঠাৎ ফাঁকা একটা দুপুর। কী করা যায় ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে হল কতদিন নিজের সঙ্গে সময় কাটানো হয়নি। চেনা মুখ, মোবাইল, ইমেল আর অনলাইনের চাপ থেকে খানিকটা সময় একেবারে নিজের জন্য একান্তে। বাইরে তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি। রোদ্দুর আর ভিজে ছোঁয়ার লুকোচুরি। এই সময় বাড়িতে যদি একঘেঁয়ে লাগে তাহলে রাস্তায়। হাঁটতে হাঁটতে একলা কোনও কফিশপে।
এই যদি আপনার নিজস্ব মুহূর্তের একান্ত নিজস্ব ভাবনা হয় তাহলে আপনার সেই ডেস্টিনেশন হতেই পারে কফি এক্সো। ৬৮৩, পূর্বাচল মেইন রোডের ‘কোZ’ এক ক্যাফেটেরিয়া। লোকশন হালতু। কফির গন্ধ আর পিৎজার টান আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে সেখানে। এমনই কোনও দিনে প্রিয় সঙ্গীর সঙ্গে ক্যাপুচিনো, হ্যাজল নাট ক্যাপুচিনোয় রঙিন হয়ে উঠব মুহূর্তরা।
কফি এক্সোর স্পেশালিটি বিনস কফি। কফি বিনস দিয়ে তৈরি কফি সার্ভ করা হয় এখানে। কফি বিনের কারণেই এই ক্যাফে মানুষের জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কফির সঙ্গে মন ভাল করার জন্য পাওয়া যায় পিৎজা, চিকেন পাই, চিকেন পিৎজা স্লাইস, চিজ কেক, পাস্তা, স্যান্ডউইজ। এছাড়া চিকেন টিক্কা কাবাব, মালাই কাবাব এসবও আছে অপশ্নে।
এই রেস্তোঁরার সিগনেচার এখানকার ‘ফ্রেশনেস’। সেটা রেস্তোঁরার অ্যাম্বিয়্যান্স থেকে ফুড সবেতেই। অর্ডার করার পর সঙ্গে সঙ্গে বানিয়ে দেওয়া হয়। তাই হাইজিন, ফুড সেফটির ব্যাপারে সংশয়ের বিশেষ জায়গা নেই। স্বচ্ছন্দে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে আসা যেতেই পারে। বার্থ পার্টি থেকে অ্যানিভার্সারি সব প্রোগ্রামেই টেবিল বুক করা যায় এখানে। সকাল ৮টা বাজলেই খুলে যায় ক্যাফের দরজা। রাত ১০ টা পর্যন্ত যে কোনও সময়ে ঘুরে আসতে পারেন।