লেন্স আমাদের দৃষ্টিক্ষমতা বাড়ায়, কারোর চোখের লেন্সে কোনো কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে এলে চোখে ‘নেগেটিভ’ বা ‘পজিটিভ পাওয়ার’ চলে আসে| সেক্ষেত্রে কেউ যদি চোখের সামনে থাকা দৃশ্য আবছা দেখতে পায় তাহলে কৃত্রিম লেন্সের মাধ্যমে তা স্পষ্ট দেখে| তাই আজকাল সবাই লেন্স পড়ে দৈনন্দিন সব কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে| এবার লেন্সের জগতে নতুন উৎপত্তি, চোখের পলকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ‘লেন্স’ জুম করে দেখাবে দৃশ্য|
কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা....
এই অবাক কান্ডটি সত্যি হতে চলেছে, এক নতুন লেন্স যা যৌথভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে, ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফর্নিয়া-সান ডিয়েগো’-র অধ্যাপকবৃন্দ ও চিনের ‘হারবিন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’-এর গবেষকরা মিলিতভাবে নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এই লেন্সের আবিষ্কার করেন|
সূত্রের খবর, এই সফ্ট বায়োমাইমেটিক লেন্সগুলি মানুষের চোখের কাইনেটিকস বা গতিবিজ্ঞানকে ইনপুট আবর্ত হিসাবে কাজে লাগিয়ে চোখের ফোকাল দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করে জুম-ইন করতে সক্ষম|
অর্থাৎ সোজা কথায়, একাধিক ফোকাল দৈর্ঘ্য সহ একটি কম্পাউন কন্টাক্ট লেন্স চোখের নড়াচড়া থেকে ইনপুট নিতে পারবে| এই ইনপুট নেওয়ার জন্য শুধু দুবার চোখের পলক ফেলতে হবে, এতে সবথেকে শক্তিশালী সংকেত তৈরী হলেই তা ইনপুট হিসাবে গৃহীত হবে| যখনই লেন্স সংকেত গ্রহণ করবে এর দীর্ঘতম ফোকাল দৈর্ঘ্যে ‘জুম’ হবে আর ব্যবহারকারী ‘টেলিকপিক ভিশন’ অর্থাৎ দূরবীন প্রযুক্তির দৃষ্টিতে দূরের দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখতে পাবে|
সূত্রের খবর, চিনের সাতজন গবেষক যাঁরা এই প্রোগ্রামটি সফল করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা হলেন: জিনরং লি, ইয়াং ওয়াং, লিউইউ লিউ, শেং জু, ইয়াঞ্জু লিউ, জিনসং লেং এবং শেংকিয়াং কাই| যদিও রেটিনার ফোকাল দৈর্ঘ্য পরিবর্তনের জন্য চোখের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হবে তার সীমাবদ্ধতা জানা যায় নি| তবে গবেষকরা এই লেন্সের দ্বারা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবে, বলে মনে করছেন নেটিজেনরা|
এই প্রাকৃতিক ‘জুম-লেন্স’-টি মানব জগতের একটি অভিনব আবিষ্কার, করণ ‘লেন্স’ এবার দূরবীনের কাজ করবে| আশা করা যাচ্ছে, এই লেন্সের মাধ্যমে মানবজাতির উন্নতি তরান্বিত হবে|