মুম্বই-এর বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি), কলকাতার ট্রাম অপারেটরের নিয়ম-কানুন জানতে আগ্রহ প্রকাশ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ডব্লিউবিটিসি)-এর কাছে। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিএমসি মুম্বইতে ইকো ফ্রেন্ডলি যানবাহন হিসেবে ট্রাম চালাতে চায়। রাজ্যের ট্রাম ডিপোর এক আধিকারিক জানান, মহারাষ্ট্র সরকার হয়তো ট্রাম চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে, সেই কারনে গতমাসে বিএমসি আধিকারিক এসে নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর কাজকর্ম দেখে গেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেছেন, কীভাবে সিঙ্গল বগি এসি ট্রাম চালানো হয়।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশদের মাধ্যমেই ট্রাম কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতায় সাতটি ট্রাম ডিপো রয়েছে। বেলগাছিয়া, রাজাবাজার, পার্ক সার্কাস, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ, কালীঘাট এবং খিদিরপুর ডিপো। শহরে ন'টা টার্মিনাল এবং একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। সাধারণত দু'টি বগি নিয়ে ট্রাম চলে। একটি ফার্স্ট ক্লাস বগি এবং অপরটি সেকেন্ড ক্লাস বগি। মোট ৫৭ ফুট লম্বা গাড়ি নিয়ে ট্রাম ছুটে চলে শহরের রাস্তায়, যার এক একটি বগি ২৮ ফুট লম্বা। সম্প্রতি একটি বগি নিয়ে এসি এবং নন এসি ট্রামও চলছে। এই সিঙ্গল বডি ট্রাম ৩৬ফুট লম্বা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৩২ আসন বিশিষ্ট এবং এক বগি বিশিষ্ট ২টি এসি ট্রাম এবং ৬টি নন এসি ট্রাম চালু করেছেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
১৯০৭ সালে দ্য বম্বে ইলেকট্রিক সাপ্লাই এন্ড ট্রামওয়েজ কোম্পানি, বম্বে ট্রামওয়ে কোম্পানি লিমিটেড কে কিনে নিয়েছিল এবং মুম্বইয়ে প্রথম ইলেকট্রিক ট্রাম সিস্টেম চালু করেছিল। ১৯২০ সালে মুম্বইতে ডাবল ডেকার ট্রাম চালু হয়েছিল। তবে ১৯৬৪ সালের মার্চ মাস থেকে মুম্বইয়ে অতিরিক্ত ট্রাফিকের কারণে ট্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়। কলকাতা ট্রাম ইউজার্স এসোসিয়েশনের সদস্য স্বর্ণাভ মুখোপাধ্যায় জানান, বিএমসি নতুন করে ট্রাম আনতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে যথেষ্ট ভালো হবে, কারণ ট্রাম শুধুমাত্র আমাদের ঐতিহ্যই নয়, পরিবেশবান্ধব পরিবহনও বটে।