ঘুমের জন্য বদল এলো আইনে

সকাল সকাল সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে গিয়ে বেশ নাকানিচোবানি খেতে হয় মায়েদের। কারণ সাত সকালে ঘুম থেকে উঠতেই আপত্তি থাকে সমস্ত খুদেদের। শুধু খুদে কেন প্রায় সব মানুষই একটু বেশিক্ষণ ঘুমাতে পছন্দ করে থাকে। ছাত্রাবস্থায় এই কারণে অনেকবারই স্কুল মিসও হয়ে যায়। এছাড়া ঘুম না হওয়ার কারণে ছাত্রমনে সৃষ্টি হতে পারে নানা সমস্যা। চিকিৎসকেরা বরাবরই একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের থেকে ঘন্টা  ঘুম প্রয়োজন বলেই দিয়েছেন। এইসব কথা মাথায় রেখে ক্যালিফোর্নিয়ায় বদলে গেলো আইন।

 

স্টুডেন্টদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ক্যালিফোর্নিয়াতে বদলে গেলো আইন। নতুন আইনে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সকালে টার আগে খোলা যাবে না কোনো স্কুল। স্টুডেন্টরা যাতে কিছুটা বেশি সময় ঘুমাতে পারে তার জন্যই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। হাই স্কুলের ক্ষেত্রে সেই সময়টি ধার্য করা হয়েছে সকাল ৮.৩০ আইন প্রণয়নের পরে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুলের কাছে মাত্র তিনবছর সময় আছে তাদের বর্তমান নিয়ম বদলানোর জন্য। ২০২২ সালের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার সমস্ত স্কুলকেই আনা হবে এই নতুন আইনের আওতায়।

 

তবে এই আইন যেমনতেমনভাবে প্রণয়ন করা হয়নি। রীতিমতো এই নিয়ে পড়াশোনা করে তারপরেই এই নিয়ে আইন তৈরী হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত সময় ঘুমানোর ফলে স্টুডেন্টদের অ্যাটেন্ডেন্স রেট আগের থেকে বেড়েছে এছাড়াও অনেকসময়ই দেখা যায় স্টুডেন্টরা ক্লাস চলাকালীন ঘুমিয়ে পড়ে। স্কুলের সময় পিছিয়ে যাওয়ার ফলে সেই সমস্যাও অনেকটা কমে গেছে।ঘুম ঠিকমতো হওয়ার কারণে স্কুলে আসার প্রতি ইন্টারেস্ট বাড়তেও দেখা গেছে। এই সবকিছুর ফলস্বরূপ ভালো রেজাল্ট পাওয়া গেছে স্টুডেন্টদের কাছ থেকে

 

আইন প্রণয়ন হওয়ার ঠিক এক বছর আগের করা একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, যেসব স্টুডেন্ট সারাদিনে ঘন্টার বেশি ঘুমাতে পারে তাদের অ্যাটেন্ডেন্স যেমন বেশি তেমন তাদের রেজাল্টও অন্যদের তুলনায় অনেকটাই ভালো। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, হাই স্কুলের স্টুডেন্টদের মধ্যে ৬০% এবং মিডল স্কুলের স্টুডেন্টদের মধ্যে ৭০% স্টুডেন্টদেরই পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম হয় না। এর ফলে পড়াশোনায় অমনোযোগীতা আসা ছাড়াও ধীরে ধীরে তাদের উপর ভর করতে থাকে ডিপ্রেশনের মতো নানা মানসিক রোগ।

 

সম্প্রতি এই খবরটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই প্রশংসিত হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ান আইন। স্টুডেন্টদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে যে স্টেপ নেওয়া হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায় তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...