আম বাঙালির ঘরের মেয়ে ‘পিকু’

‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ছবিতে দক্ষিণী কন্যা। ‘ফাইন্ডিং ফানি’তে গোয়ানিজ গার্ল। ‘হ্যাপি নিউইয়ার’ ছবিতে মহারাস্ট্রীয় মুল্গি। আর পিকুতে কাজল চোখের বাঙালি কন্যা। বাকি তিন ছবিতে দীপিকা চেনা সুন্দরী। কিন্তু সব ছাপিয়ে গিয়েছিলেন ‘পিকু’তে।

পিঠ ছাপানো কালচে বাদামি চুল। কালো টিপ আর ভ্রমর চোখের জাদুতে চিরদিনের জন্য বশ করে ফেলেছিলেন গোটা বঙ্গভূমিকে। ছবির চরিত্রে তিনি প্রবাসী বাঙালী হলেও বাংলা তাকে ‘ঘরের মেয়ে’ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারেনি। ‘পিকু’ দেখতে গিয়ে তারা ভুলে যায় এ ছবি আসলে দীপিকা পাডুকন নামে এক কঙ্কনী কন্যার।

২০১৫ সালে রিলিজ হওয়া সুজিত সরকারের পরিচালনায় এই ছবি ‘হিরোইন দীপিকা’র কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি শুধু নয়, বলা যায় ‘অভিনেত্রী দীপিকা’র কেরিয়ারের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট বলতে পারেন।

দীপিকা আসলে এমনই। পিকুর জন্য বাংলা শিখেছিলেন। অমিতাভ, ইরফান আর দীপিকার অভিনয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন দর্শকরা। বক্স অফিসেও সফল হয় ছবি। পিকু এতটাই প্রিয় হয়েছিল বাঙালি দর্শকদের যে দীপিকাকে ডিনারের নিমন্ত্রণ করেছিলেন কলকাতার এক দম্পত্তি।

২০২০তে পাঁচ বছর পার করেছে ‘পিকু’। সেই ছবির কথা বলতে গিয়ে বারবার আবেগপ্রবণ হয়েছেন দীপিকা। অনেকে তাঁকে আজও প্রশ্ন করে ‘পিকু’র স্যিকুইয়েল কী হবে না। ছবিতে যে বাবা ভাস্কর বন্দোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর একা মেয়ে পিকুর কী হল জানা যায়নি। এমনকি ক্যাব সংস্থার মালিক রানার সঙ্গে তার বিয়ে হল কিনা সেটাও তো জানা গেল না। এই প্রশ্নে দীপিকার উত্তর ছিল, “তাঁর কাছে পিকু সেই সব মেয়েদের মতো একেবারেই নয় যাদের জীবনে ‘সেটল’ বা ‘কমিট’ করাই একমাত্র পরিনতি”।

পিকু তার ইচ্ছে ডানায় স্বাধীন। জীবনের অজস্র কারণের মধ্যে তারা নিজেদের ভালো থাকা খুঁজে নিতে পারে। ঠিক দীপিকার মতো।

এক ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েও যারা পরের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ঘরে ফেরেন। দীপিকা আসলে তাদের দলে। ব্যর্থতা, প্রতারণা, অবিশ্বাসের আগুন পেরিয়ে জ্বলজ্বলে তেজী সূর্য্য।

দীপিকা সম্পর্কে আরও একটি তথ্য বলে কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে কলকাতার এক নামী গহনা ব্র্যান্ডের মডেল হয়েই প্রথম নজরে আসেন দীপিকা। শোনা যায় এই ব্র্যান্ডের জন্য দীপিকাকে তাঁর চোখের জন্য বাছা হয়েছিল। 

১৯৮৬-র আজকের দিনে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে তাঁর জন্ম হয়। ভাল থাকুন দীপিকা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...