প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে থাকা বিশাল এক প্রবালের সন্ধান পেল সমুদ্রবিজ্ঞানীরা। এই মহাসাগরের সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নীচে রয়েছে ৩০০ বছরের পুরোনো এই প্রবালটি। এটি এতই বিশাল যে, এটি মহাশূন্য থেকে দৃশ্যমান।
হাইলাইটসঃ
১। এক বিশাল প্রবালের সন্ধান পেল সমুদ্রবিজ্ঞানীরা
২। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে অবস্থিত
৩। এই প্রবালটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো
প্রবালটি ৩৪ মিটার (১১১ ফুট) চওড়া এবং ৩২ মিটার (১০৪ ফুট) দীর্ঘ। এটি প্রায় একশো কোটি ছোট ছোট প্রবাল কীট (পলিপ) দিয়ে তৈরি। বিজ্ঞানীদের মতে, বালি দিয়ে ঘেরা এই বিশাল প্রবালে প্রায় একশো কোটি প্রবাল কীট বাস করতে পারে। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রান্তের ‘থ্রি সিস্টারস’ নামে পরিচিত এক স্থানে এই প্রবালটি অবস্থিত।
ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিকের একটি অভিযানের সময় এই আবিষ্কার করেন সামুদ্রিক গবেষকেরা। প্রাথমিকভাবে এই প্রবাল দেখে কোনো পরিত্যাক্ত জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ভেবেছিলেন গবেষকেরা। পরে তারা লক্ষ করেন, এটি একটা বিশাল জীবন্ত প্রবাল! এটির রঙ উজ্জ্বল বেগনি, হলুদ, নীল এবং লাল রঙের ছটা দেখতে পান তাঁরা। গবেষকদের মতে প্রশান্ত মহাসাগরের সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাজে অবস্থিত এটিই বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল।
বর্তমান সময়ে জলবায়ুর পরিবর্তন এই ধরণের প্রবাল লুপ্ত হয়ে যাওয়ার পিছনে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। গবেষণা অনুযায়ী, উষ্ণ জলে থাকা ৪৪ শতাংশ প্রবাল বিলুপ্তির পথে। কিন্তু এই একক প্রবালটি ক্রমবর্ধমান। বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে এই জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যেই নিজেকে টিকিয়ে রেখেছে। বিশাল আকারের প্রবালটি সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিস্থাপকতারও প্রমাণ।
এর পূর্বে আমেরিকার সামোয়ায় ‘বিগ্ মামা’ নামে পরিচিত একটি প্রবালটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। কিন্তু এই প্রবাল ‘বিগ্ মামা’ প্রবালের চেয়ে আকারে তিন গুণ বড়।